চাকরি ছেড়ে সহকর্মীদের কাছে হেনস্থা যুবকের

সোমবার রাতে  উল্টোডাঙা রোডের এই ঘটনায়, ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে বাড়িতে এসে মারধর, গালিগালাজ করে ব্যক্তিগত নথি এবং টাকা আদায়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন সংস্থার প্রাক্তন কর্মী অর্ণব দাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

চাকরি করতে ভাল না লাগায় সংস্থা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এক যুবক। এই কারণে তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, সংস্থার দুই সহকর্মী ওই যুবকের বাড়িতে রাতে চড়াও হন। মারধর করে কেড়ে নিলেন তাঁর আধার এবং প্যান কার্ড। যুবকের পরিবারের দাবি, তাঁরা কিছু টাকা ওই কর্মীদের দিলেও, যুবকের আধার এবং প্যান কার্ড নিয়ে চলে যান তাঁরা। জানিয়ে গেলেন, বাকি টাকা সংস্থার অফিসে পৌঁছে দিলে, তবেই ওই সব নথি ফেরত পাওয়া যাবে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে উল্টোডাঙা রোডের এই ঘটনায়, ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে বাড়িতে এসে মারধর, গালিগালাজ করে ব্যক্তিগত নথি এবং টাকা আদায়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন সংস্থার প্রাক্তন কর্মী অর্ণব দাস। বুধবার ওই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে তদন্ত শুরু হলেও, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারী তপসিয়ার একটি বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী সংস্থার হয়ে কাজ করতেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল ইকো পার্কে। অভিযোগকারী যুবকের দাবি, সেখানে তাঁর দুই সহকর্মীকে চাকরি করতে ইচ্ছে করছে না বলে জানান তিনি। ওই দুই যুবক প্রথমে তাঁকে চাকরি ছাড়তে বারণ করেন। কিন্তু তিনি ভবিষ্যতের কথা ভেবে ওই চাকরি ছেড়ে দেন। এর পরেই গত সোমবার রাতে ওই দুই সহকর্মী তাঁর উল্টোডাঙার বাড়িতে আসেন এবং চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।

Advertisement

পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী চাকরি করতে ইচ্ছুক নন বলে জানালে ওই দুই ব্যক্তি জোর করে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন এবং আধার ও প্যান কার্ড নিয়ে নেন। পুলিশের কাছে অর্ণবের অভিযোগ, তাঁরা বাবা ২৬ হাজার টাকা দিলে ওই দুই সহকর্মী তা নিয়ে চলে যান এবং বাকি ৭৪ হাজার টাকা অফিসে দিয়ে আসতে বলেন। তদন্তকারীরা জানান, অভিযোগকারী যুবকের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি মিলেছে। তাঁর সঙ্গে ফের কথা বলা হবে। ওই সংস্থার প্রতিনিধিদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন