লঞ্চ থেকে গঙ্গায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা

লঞ্চ যখন মাঝগঙ্গায়, হঠাৎ আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান তাঁরা। আশপাশে থাকা সহযাত্রীদের বলেন সরে যেতে। বসতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই এগিয়ে লঞ্চের এক পাশে দাঁড়াবেন। এর পরেই লঞ্চের ধারে গিয়ে একসঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দেন দু’জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:১৩
Share:

অঘটন: হাওড়া হাসপাতালে আনা হয়েছে ওই বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাকে। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

টিকিট কেটে লঞ্চে উঠে মাঝখানের আসনে বসেছিলেন এক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা। লঞ্চ যখন মাঝগঙ্গায়, হঠাৎ আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান তাঁরা। আশপাশে থাকা সহযাত্রীদের বলেন সরে যেতে। বসতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই এগিয়ে লঞ্চের এক পাশে দাঁড়াবেন। এর পরেই লঞ্চের ধারে গিয়ে একসঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দেন দু’জন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাগবাজার থেকে হাওড়ামুখী একটি লঞ্চে এই ঘটনা ঘটে। ওই দু’জন গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার পরেই ‘হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি’র কর্মী জয়দেব হালদার তাঁদের উদ্ধার করতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দ্রুত দু’জনকে উদ্ধার করে লঞ্চে তোলা হয়। ইতিমধ্যে লঞ্চের কর্মীরা পুলিশে খবর পাঠান। হাওড়ার লঞ্চঘাটে পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। ওই বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন। বৃদ্ধার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, ওই দু’জন স্বামী-স্ত্রী। তবে, শনিবার গভীর রাত পর্যন্তও তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। মৃতের পকেট থেকে গড়িয়া-বাগবাজার রুটের একটি সরকারি বাসের টিকিট পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে পুলিশের অনুমান, তাঁদের বাড়ি গড়িয়ায়। পাওয়া
গিয়েছে একটি মোবাইল ফোনও। কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ ভিজে যাওয়ায় চালু করা যায়নি। মোবাইলের সিম কার্ড থেকে ওই দু’জনের পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন