—প্রতীকী ছবি
রাত প্রায় সাড়ে ৯টা। তালতলা থানার অফিসার-কর্মীরা সারা দিনের কাজকর্ম খুঁটিয়ে দেখছিলেন। হঠাৎ ঢুকে পড়া এক প্রৌ়ঢ়ের কথা শুনে চমকে উঠলেন তাঁরা।
‘আমার স্ত্রীকে নিজের হাতেই গলা টিপে খুন করেছি,’ পুলিশকে বলেন ওই প্রৌঢ়। স্বীকারোক্তির প্রাথমিক ধাক্কা সামলে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। অশোক দত্ত (৫৮) নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়েই তারা ছোটে তাঁর ডক্টর্স লেনের বাড়িতে। দেখা যায়, ঘরে পড়ে আছে এক মহিলার দেহ।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতের ওই ঘটনায় নিহত মহিলার নাম মালা দত্ত (৫২)। বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ব্যবসায়ী অশোক পুলিশকে জানান, মালাদেবী তাঁর স্ত্রী। পারিবারিক অশান্তির জেরেই তিনি শ্বাস রোধ করে স্ত্রীকে খুন করেছেন। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় ওই প্রৌঢ়কে। অশোককে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, খুন করা হয় দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ। তার পরে দীর্ঘ ক্ষণ অশোক কোথায় ছিলেন, জেরায় তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অশোকের ভাড়াবাড়িতে একতলা ও দোতলা মিলিয়ে দু’টি ঘর। নীচে অশোকের বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকান। সেখানে ছোটখাটো জটলা। পড়শিরা জানান, নিঃসন্তান দত্তেরা ডক্টর্স লেনের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। ওই দম্পতির মধ্যে মোটেই বনিবনা ছিল না। প্রায় রোজই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। কয়েক জন পড়শি জানান, সোমবার সারা দিন তাঁরা অশোককে দেখতে পাননি। তাঁর দোকানটাও বন্ধ ছিল। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ অশোক বিধ্বস্ত অবস্থায় এসে কয়েক জন পড়শিকে জানান, মালাদেবীকে খুন করে তিনি বিষ খেয়েছেন। পড়শিরা যেন তাঁকে থানায় নিয়ে যান। তবে কেউ তাঁকে নিয়ে থানায় যেতে চাননি। পরে অশোক একাই যান থানায়। পুলিশ তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।