Crime

ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন মাকে, ধৃত ছেলে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধা আয়ার কাজ করতেন। ছেলে-বৌমার সঙ্গে তাঁর প্রায়ই ঝামেলা চলত। অভিযোগ, শম্ভু নিয়মিত নেশা করতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোনারপুর শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষগ্রাম মাঠকল এলাকায়। মত্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বৃদ্ধা মায়ের গলার নলি কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মায়া হালদার (৭২)। অভিযুক্ত ছেলে শম্ভু হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধা আয়ার কাজ করতেন। ছেলে-বৌমার সঙ্গে তাঁর প্রায়ই ঝামেলা চলত। অভিযোগ, শম্ভু নিয়মিত নেশা করতেন। মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে মাকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন ওই বৃদ্ধা। রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে শম্ভু। অভিযোগ, মায়ের কাছে টাকা চায় সে। বৃদ্ধা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তা নিয়ে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, বচসার মধ্যেই বাড়িতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মায়ের গলার নলি কেটে দেয় শম্ভু। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধা।

শম্ভুর বছর এগারোর ছেলে তা দেখে চিৎকার করে ওঠে। তার চিৎকার শুনেই ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। শম্ভু পালানোর চেষ্টা করলেও তাকে ধরে ফেলেন প্রতিবেশীরা। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে শম্ভুকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে আসেন বৃদ্ধার মেয়ে, কামরাবাদ এলাকার বাসিন্দা স্বর্ণলতা হালদার। পরে দাদা শম্ভুর নামে থানায় মাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শম্ভুকে গ্রেফতার করে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। স্বর্ণলতা বলেন, ‘‘মায়ের উপরে প্রায়ই অত্যাচার চালাত দাদা। মারধর করত। ওর কঠিন শাস্তি চাই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন