ব্যবসায় বিনিয়োগ করে চোট লক্ষাধিক, গ্রেফতার ১

বিধাননগর সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, মূলত মহিলারাই নিশানা ছিল অভ্র, তার স্ত্রী নেহা সাহা এবং অভ্রর শাশুড়ি রমা সাহার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৮ ০২:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রথম ধাপে ব্যবসায় বিনিয়োগের টোপ দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হত বিপুল অঙ্কের টাকা। এর পরে অফিস তৈরির নামে কিস্তিতে এসি, ফ্রিজ, বাইক কিনে সেগুলি বাজারে বিক্রি করে দিত অভিযুক্তেরা। শাশুড়ি, মেয়ে, জামাইয়ের এমনই এক প্রতারণা-চক্রের হদিস পেয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। রুনু দাস নামে এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা, অভিযুক্ত জামাই অভ্র ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

বিধাননগর সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, মূলত মহিলারাই নিশানা ছিল অভ্র, তার স্ত্রী নেহা সাহা এবং অভ্রর শাশুড়ি রমা সাহার। পুলিশকে রুনু জানিয়েছেন, তিনি পেশায় বিউটিশিয়ান। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় রমা এবং নেহার। ন’মাস আগে তারা রুনুকে অভ্রর ব্যবসায় বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র তাঁর নেই বলে রুনু জানালে অভ্র বলে, সে সব নিয়ে ভাবতে হবে না। অভিযোগকারিণীর আরও দাবি, বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার নামে অভ্র তাঁর থেকে ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে। একটি ব্যাঙ্কে রুনুর নামে যে দু’টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তার এটিএম কার্ড এবং পাসবইও নিয়ে নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রুনু জানান, ১৩ লক্ষ টাকার পুরোটা নগদে নেওয়া হয়নি। অর্থলগ্নি সংস্থায় গয়না বন্ধক রাখা, বেসরকারি সংস্থা থেকে মাসিক সুদে ঋণ নেওয়া— কিছুই বাদ যায়নি। রুনুর নামে কিস্তিতে এসি, ফ্রিজ কিনে সেগুলি অভ্র বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

রূপচর্চার পেশায় যুক্ত থাকার সুবাদে রুনুকে বিশ্বাস করে আরও অনেকে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। একই কায়দায় তাঁরাও প্রতারণার শিকার বলে জানিয়েছে পুলিশ। রুনুর কথায়, ‘‘আমাকে বিশ্বাস করে অন্তত ৩০ জন টাকা দিয়েছিলেন। তাঁদের টাকা কী করে শোধ করব, সেটাই ভাবছি।’’ প্রতারিতদের এক জন মনোরমা ঘোষাল বলেন, ‘‘নগদই দিয়েছি ৬৫ হাজার টাকা। ব্যবসার জন্য প্যান কার্ড, আধার কার্ড নিয়েছিল। তা দেখিয়ে আমার নামে এসি-ফ্রিজ কিনেছে। সেই কিস্তি তো এখন গুনতে হবে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতারিতদের দাবি অনুযায়ী টাকার অঙ্ক ২০ লক্ষের কম নয়। এই চক্রে অভ্রর শাশুড়ি ও স্ত্রীর ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এ দিন অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন