vidyasagar college

বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার বর্ষপূর্তি নীরবেই পার

এক বছর পরে, লকডাউনের মধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের গেটের সামনে নীরবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদ দিবস পালন করলেন দু’জন ছাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০৩:২৮
Share:

লজ্জা: (বাঁ দিকে) গত বছরের ১৪ মে রাতে বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডবের পরে পড়ে রয়েছে বিদ্যাসাগরের মূর্তির ভাঙা অংশ। (ডান দিকে) শুক্রবার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথের সামনে সেই ঘটনার বর্ষপূর্তিতে প্রতিবাদ দিবস পালন। নিজস্ব চিত্র

এক বছর আগে, ঠিক ১৫ মে-তেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। তার আঁচ বাংলা ছাড়িয়ে ভিন্‌ রাজ্য, এমনকি বিদেশ পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছিল। দলমত নির্বিশেষে মানুষ সকাল থেকে বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে জড়ো হয়েছিলেন আগের দিন ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে। গত বছরের ১৪ মে রাতে এক দল দুষ্কৃতী বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে ভেঙে দিয়েছিল সেখানে রাখা বিদ্যাসাগরের মূর্তিটি। অভিযোগ উঠেছিল, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো-তে যোগদানকারীদের মধ্যে থেকেই কিছু ব্যক্তি এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এক বছর পরে, লকডাউনের মধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের গেটের সামনে নীরবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদ দিবস পালন করলেন দু’জন ছাত্র।

Advertisement

শুক্রবার সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে প্রতিবাদ দিবস পালন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। তাঁদের এক জন, অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, “লকডাউনের জন্য মাত্র দু’জন মিলেই প্রতিবাদ দিবস পালন করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছি। আশা করা যায় আগামী বছর এই সময়ে পৃথিবী করোনামুক্ত হয়ে যাবে। আগামী বছর আরও বড় করে এই প্রতিবাদ দিবস পালন করব।”

এ দিন বিদ্যাসাগর কলেজে লকডাউনের জন্য কোনও প্রতিবাদ সভা না-হলেও দিনটি নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডু। তিনি জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কলেজে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। গৌতমবাবু বলেন, “ওই ঘটনা আমাদের মধ্যে একটা স্থায়ী ক্ষত তৈরি করে দিয়েছে। এমন নিন্দনীয় ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না-হয়, সেটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।”

Advertisement

আরও পড়ুন:ক্যানসার অস্ত্রোপচারের সম্মতি এল ভিডিয়ো কলে

আরও পড়ুন: রেড জ়োনে রেশনের কুপনের আবেদনে দীর্ঘ লাইন

ওই ঘটনার পরে বিদ্যাসাগরের নতুন, ব্রোঞ্জের তৈরি মূর্তি বসেছে কলেজ চত্বরে। কলেজের ভিতরেও বিদ্যাসাগরের আর একটি নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে বাইরে যে মূর্তিটি রয়েছে, তার উপরে একটি আচ্ছাদন দেওয়ার কথা ছিল। গৌতমবাবু বলেন, “বিদ্যাসাগরের মূর্তি যিনি বানিয়েছেন, তিনি জানিয়েছিলেন মূর্তিতে কিছু কাজ করা বাকি রয়ে গিয়েছে। ভেবেছিলাম মূর্তি ভাঙার এক বছরের মধ্যে পুরো কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। অনেকটা কাজ হয়েও গিয়েছে। কিছুটা বাকি থেকে গেল লকডাউনের জন্যই।” গৌতমবাবু জানাচ্ছেন, লকডাউন উঠলেই বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। তিনি বলেন, “আমাদের কলেজ রেড জ়োনের মধ্যে পড়ে। তাই এখন তো কোনও কিছুই করা সম্ভব নয়। আমাদের কলেজের পাঠাগারে বিদ্যাসাগরের ব্যবহার করা বই রয়েছে। মূর্তির কাজ শেষ করার পাশাপাশি পাঠাগারের বইগুলি ডিজিটাইজ় করার ইচ্ছা রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন