—প্রতীকী ছবি।
তিন জনের সঙ্গে রেললাইনে উঠেছিলেন এক যুবক। কিছু ক্ষণ পরে সেখান থেকেই উদ্ধার হল দমদমের শেঠবাগানের বাসিন্দা জয়দেব দাসের (৩৬) দেহ। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ তদন্তের দাবি করেছে পরিবার।
শনিবার মৃতের বাবা রঞ্জিত দাস জানান, তাঁর ছেলের ইস্ত্রির দোকান রয়েছে। মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগানোর জন্য সকালে টোটো চালাতেন। শুক্রবার দুপুর আড়াইটের পরেও ছেলে ফিরছে না দেখে মোবাইলে যোগাযোগ করেন মা। সেই সময়ে জিআরপি-র এক আধিকারিক ফোন ধরে দমদমে জিআরপি কার্যালয়ে যেতে বলেন। সেখানে পৌঁছে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় জয়দেবের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দমদম স্টেশনের আন্ডারপাসের নীচে জয়দেবের টোটো দাঁড় করানো ছিল। রঞ্জিত বলেন, ‘‘দমদম স্টেশন থেকে পাতিপুকুর যাওয়ার জন্য একটি টোটো স্ট্যান্ড রয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, তিন জনের সঙ্গে জয়দেব রেললাইনে ওঠে। ওই তিন জনের নাম জানতে পারিনি। বাড়িতে অশান্তি কিছু ছিল না। ছেলে কোনও সমস্যার মধ্যেও ছিল না। সারাদিন কাজের মধ্যে থাকত। রেললাইনে কেন উঠতে গেল, বুঝতে পারছি না!’’ মৃতের মা বলেন, ‘‘ছেলের মৃত্যু কী ভাবে হল জানতে চাই!’’
জিআরপি সূত্রের খবর, ট্রেনে এক জনের ধাক্কা লাগার খবর আপ গেদে লোকালের চালক জানিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জয়দেবের দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।