দিনেদুপুরে গুলি এ বার বেনিয়াপুকুরে

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। অভিযোগ, এন্টালির স্যর সৈয়দ আহমেদ রোডের বাসিন্দা আসলামকে বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকি দেয় স্থানীয় যুবক লম্বু পাপ্পু ওরফে দীপক বাল্মীকি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০২:২৬
Share:

এই পিস্তল থেকেই চলে গুলি, দেখাচ্ছেন এক বাসিন্দা। সোমবার, বেনিয়াপুকুরে। নিজস্ব চিত্র

ফের দিনেদুপুরে গুলি চলার অভিযোগ। এ বার বেনিয়াপুকুর থানার তাঁতিবাগান রোডে। যদিও ঘটনাস্থলটি বেনিয়াপুকুর থানা এবং এন্টালি থানার সীমান্ত এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। অভিযোগ, এন্টালির স্যর সৈয়দ আহমেদ রোডের বাসিন্দা আসলামকে বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকি দেয় স্থানীয় যুবক লম্বু পাপ্পু ওরফে দীপক বাল্মীকি। সে সময়ে আসলাম ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠান পাপ্পুরই পড়শি শেখ আমিনকে। তিনি পৌঁছে পাপ্পুর সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন। পাড়ার অন্য বাসিন্দাদের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো ঝামেলা মেটে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে বছর তিনেকের ছেলেকে শিক্ষকের কাছে পড়তে দিয়ে তাঁতিবাগান রোড ধরে ফিরছিলেন আমিন। তখনই রবিবারের গোলমালের রেশ টেনে তার উপরে চড়াও হয় লম্বু পাপ্পু। অভিযোগ, আমিনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেয় সে। আমিনের কানের পিছনে পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাতও করে। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আমিনের এক ভাই শাহনওয়াজ। অভিযোগ, আচমকা লম্বু পাপ্পু আমিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে গেলে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা বাধা দেন। আর তাতেই পিস্তল থেকে গুলি ছিটকে আমিনের গায়ে না লেগে পাপ্পুর পায়ে লাগে।

Advertisement

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দু’পক্ষের লোকজন। তাঁরাও নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দু’দলকে সরিয়ে দেয়। পাপ্পু, আমিন এবং আরও এক জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, পাপ্পু একবালপুরের একটি হাসপাতালে আইসিইউয়ে ভর্তি।

এ দিকে, সোমবার গোলমাল থেমে যাওয়ার পরেও সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় থানার পুলিশের হাতে পিস্তল তুলে দিতে অস্বীকার করেন আমিনের পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, অস্ত্রটি লম্বু পাপ্পুর। কিন্তু গুলি চলার পরে সে ভয়ে সেটিকে ফেলে পালাতে গিয়েছিল। আমিনের পরিজনেরা আরও দাবি জানাতে থাকেন, তাঁরা ওই পিস্তলটি লালবাজারের হাতেই তুলে দেবেন। সেভেন এম এম পিস্তলটি নিয়ে কিছু ক্ষণ রাস্তায় ঘুরে বেড়ান তাঁরা। শেষে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকেরা এলে তাঁদের হাতে অস্ত্রটি তুলে দেওয়া হয়।

তবে কী কারণে এই ঘটনা, তা নিয়ে সংশয়ে তদন্তকারীরা। আমিনের পরিবার তোলাবাজির কথা অস্বীকার করলেও পুলিশ জানিয়েছে, সপ্তাহ দুই আগে এন্টালির একটি নির্মাণকাজে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। তার পরে সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, ওই তোলাবাজিতে জড়িয়েছিলেন আমিনও। তা নিয়েই ফের গোলমাল। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, দু’পক্ষেরই ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন