প্রয়োজনের তুলনায় লাইনের অভাব। খালি থাকে না প্ল্যাটফর্মও। এ জন্য রোজ হাওড়া স্টেশনে ঢুকতে গড়ে ন’মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে লোকাল ট্রেনগুলিকে। ভুগছেন যাত্রীরা। সারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের পরিকাঠামো পরীক্ষার পরে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) ২০১৭-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাওড়ায় যাত্রীর চাপ বাড়ায় একাধিক নতুন প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। যাত্রী-স্বার্থে রেলকে তা দ্রুত করতে বলা হয়েছে।
দূরপাল্লার যাত্রীদের কথা ভেবে প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্যও বাড়াতে বলা হয়েছে। বর্তমানে হাওড়া থেকে ১০৪টি দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে ও যাত্রা শেষ করে। এ জন্য রয়েছে ২২টি প্ল্যাটফর্ম। তবে ১০টি প্ল্যাটফর্মে ২৪ কামরার ট্রেন দাঁড়াতে পারে। সিএজি-র সমীক্ষা অনুযায়ী, বাকিগুলি দৈর্ঘ্যে কম হওয়ায় ২৪ কামরার গাড়ি দাঁড়ালে কিছু কামরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে থাকে। ফলে মাল নিয়ে যাত্রীদের সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা করতে হয়। একই সঙ্গে সিএজি দেখেছে, হাওড়া স্টেশন লোকাল বা দূরপাল্লার ট্রেন সাফ করতে টিকিয়াপাড়া বা কোচিং ইয়ার্ড (ঝিল সাইডিং)-এর উপর নির্ভরশীল। যা লোকাল ট্রেনের দেরির অন্যতম কারণ। তাই অন্য ব্যবস্থা ভাবতে বলা হয়েছে রেলকে।
২০১৫-’১৬ সালের বাজেটে ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম বানানোর ঘোষণা হলেও, ভুল পরিকল্পনার কারণে সেই প্রকল্প বাতিল হয়। আগুপিছু না ভেবে ভিত্তিহীন পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে সিএজি।