চাঁদা আদায় নিয়ে ধুন্ধুমার বজবজে

কালীপুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে ইন্ডিয়ান অয়েলের লরিচালক ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দফায় দফায় মারধরের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বজবজ থানার গোবরঝুড়ি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪৬
Share:

কালীপুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে ইন্ডিয়ান অয়েলের লরিচালক ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দফায় দফায় মারধরের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বজবজ থানার গোবরঝুড়ি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্রীমন্ত বৈদ্যর অনুগামী কর্মীরা বুইতা পঞ্চায়েত এলাকার রক্ষাকালী পুজোর চাঁদা তোলার জন্য সিলিন্ডার বোঝাই লরি আটকে চাঁদা তোলা শুরু করে। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কয়েক জন চালক ওই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা চালকদের মারধর করে বলে অভিযোগ। তার পরই চালকরা রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক তৃণমূল কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

চালকদের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই ব্লক সভাপতি শ্রীমন্ত বৈদ্য দলবল নিয়ে অবরোধ তুলতে আসেন। কয়েক জন চালককে ধাক্কা দিয়ে সরিয়েও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরই চালকেরা শ্রীমন্ত বৈদ্য-সহ তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল দলীয় অফিস ভাঙচুর করেন চালকেরা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন তৃণমূল পরিচালিত চালক সমিতির সম্পাদক অসিত দাস। ফের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষের বচসা চলাকালীন কয়েক জন চালক লরি থেকে সিলিন্ডার নামিয়ে নলের মুখ খুলে গ্যাস বের করে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। কয়েকটি সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরোনো শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিলিন্ডারগুলি বাজেয়াপ্ত করে।

পুলিশ বাহিনী পৌঁছে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। চালকদের ইন্ডিয়ান অয়েল প্লান্টের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। চালক সমিতির সম্পাদক অসিত দাসের গ্রেফতারের দাবিতে ফের রাস্তা অবরোধ শুরু করেন ব্লক সভাপতির অনুগামী তৃণমূল কর্মীরা। বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন বজবজের বিধায়ক অশোক দেব। দুই যুযুধান গোষ্ঠীর নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন অশোকবাবু। তার পরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বেলা তিনটে নাগাদ লরি চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে দাবি করছেন পুলিশকর্তারা

চালকদের অভিযোগ, জোর জুলুম করে নানা সময় চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। এ দিন প্রতিবাদ করলে মারধর করা হয়েছে। অশোকবাবু বলেন, ‘‘দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এমন পরিস্থিতি বাঞ্ছনীয় নয়।’’ দু’পক্ষই পুলিশের কাছে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছে। বিকেল তিনটের পর লরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। এ দিনের ঘটনায় গ্রাহকদের সিলিন্ডার সরবরাহের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন