আগুন, আতঙ্ক মেডিক্যালে

সবে মাত্র হাসপাতালের ওয়ার্ডে আসতে শুরু করেছিলেন রোগীর পরিজনেরা। আচমকাই দপদপ করে উঠল কয়েকটি আলো। বন্ধ গেল পাখা। কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল চার দিক। সঙ্গে পোড়া গন্ধ। বিপদ বুঝে ছোটাছুটি শুরু করে দেন রোগী, নার্স, কর্মীরা। স্যালাইনের চ্যানেল হাতেই সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে এলেন কয়েক জন রোগী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ০৩:২৮
Share:

সবে মাত্র হাসপাতালের ওয়ার্ডে আসতে শুরু করেছিলেন রোগীর পরিজনেরা। আচমকাই দপদপ করে উঠল কয়েকটি আলো। বন্ধ গেল পাখা। কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল চার দিক। সঙ্গে পোড়া গন্ধ। বিপদ বুঝে ছোটাছুটি শুরু করে দেন রোগী, নার্স, কর্মীরা। স্যালাইনের চ্যানেল হাতেই সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে এলেন কয়েক জন রোগী।
সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ একটি ছোট অগ্নিকাণ্ডে এ ভাবেই আতঙ্ক ছড়াল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘গ্রিন বিল্ডিং’য়ের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালের কর্মীরাই প্রাথমিক ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বড় বিপদ এড়াতে বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আগুন পুরো নেভায়। দমকলের অনুমান, জ্বলন্ত বিড়ি বা দেশলাই কাঠি থেকেই এই বিপত্তি। আর তা থেকেই বিল্ডিংয়ের দোতলার কার্নিশে জমে থাকা প্লাস্টিক, ছেঁড়া কাপড়ে আগুন ধরে যায়। পুড়ে যায় কার্নিশের গায়ে থাকা এসি মেশিনের তার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আধ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

Advertisement

হাসপাতালের সর্বত্র ধূমপান নিষিদ্ধ হলেও ওয়ার্ডে কী ভাবে সিগারেট-বিড়ি যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতালেরই একাংশ। মেডিক্যালের সুপার শিখা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এত প্রচার সত্ত্বেও কিছু হচ্ছে না। কেউ পকেটে নিয়ে ঢুকলে কি করা যাবে। সবার পকেট তো আর পরীক্ষা করা সম্ভব নয়!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন