—প্রতীকী চিত্র।
মা তখন সবে চা বসিয়েছে। বাবা কী করছিল খেয়াল নেই। আচমকা চৈতালি আন্টির গলা শুনতে পেলাম। আন্টি তিনতলার জানলা থেকে বাবার নাম ধরে প্রাণপণে চিৎকার করছে, ‘‘নির্মলদা তাড়াতাড়ি আসুন। বাড়িতে বিপদ।’’ বাবা কী হয়েছে জানতে চাইলে আন্টি বলে, এক জন লোক বন্দুক হাতে বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। ওই কথা শুনেই বাবা ছুটে বেরিয়ে গেল। কোনও মতে আমাদের বাড়ির দরজা বন্ধ করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল মা-ও।
অন্য কাকিমাদের মা ডাকছে দেখে, আমি প্রথমে আমাদের বাড়ির উল্টো দিকের কলিং বেল টিপে অরুণ আঙ্কলদের বিপদের কথা বলি। এর পরে পাগলের মতো গলির সব বাড়িতে বেল বাজাই। আমি কুকুর খুব ভয় পাই। ও ভাবে বেল বাজাচ্ছি দেখে, পাড়ার সবাই ভাবছিল, আমায় বোধ হয় কুকুরে তাড়া করেছে। কিন্তু চৈতালি আন্টিদের বাড়ির কথা জানার পর সকলেই বলে, এক্ষুনি যাচ্ছি। গোটা পাড়ায় খবর দেওয়ার পরে অরুণ আঙ্কলদের বাড়ির সামনে যাই। কী ভিড়! বাড়ির ভিতরে কে যেন চিৎকার করছে, ‘মেরে দেব। গুলি করে দেব!’
বাবা বারান্দায় চৈতালি আন্টিকে দেখে বলল, যে ভাবে হোক দরজার চাবি নীচে ফেলুন। আন্টি বলল, ভিতর থেকে লক করে দিয়েছে। চাবি ফেলব কী করে! কিছু ক্ষণ পরে দেখলাম, আশিস আঙ্কল একটা বন্দুক নীচে ফেলে দিল। এর পরে চৈতালি আন্টি দরজা খুলতেই সকলে বাড়ির ভিতরে ঢুকে লোকটাকে জাপটে ধরল। কাঁচি হাতে তখনও হুমকি দিয়ে চলেছে লোকটা। তবে হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে লোকটাকে অনেকে পিটিয়েছে। আমার দেখতে ভাল লাগেনি।