প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহের প্রথম দিন চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হলেন গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের যাত্রীরা। দিনভর হয়রানির পরে যাদবপুর থানার আশ্বাসে ধর্মঘট উঠল। তবে শাসক দলের দু’পক্ষের লড়াই রয়েই গেল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছরখানেক ধরেই গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের দখল নিয়ে শাসক দলেরই দু’টি গোষ্ঠীর লড়াই তীব্র হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে নেতৃত্ব বদল করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তাতেও দ্বন্দ্ব কমেনি। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী জোর করে অটোচালকদের কাছ থেকে টাকা তুলছে ও পুজোর সময় থেকে চাঁদার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে, এই অভিযোগে লড়াই ক্রমশ তীব্র হচ্ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শনিবার সন্ধ্যায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা দেবরাজ ঘোষের ঘনিষ্ঠ এক অটোচালকের সঙ্গে টুলটুল-গোষ্ঠীর এক অটোচালকের বচসা বাধে। অভিযোগ, এর পরেই দেবরাজের ঘনিষ্ঠেরা জড়ো হয়ে কয়েক দফায় ওই অটোচালককে বেধড়ক মারধর করে। এরই প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার রাত থেকে গড়িয়া-গোলপার্ক এবং গোলপার্ক-পাটুলি রুটে অটো বন্ধ করে দেয় টুলটুল-গোষ্ঠীর লোকজন। দলের শীর্ষ নেতা ও পুলিশের বারবার অনুরোধেও অটো চলেনি।
তবে রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় সে ভাবে দুর্ভোগ চোখে পড়েনি। কিন্তু সোমবার সকালেও অটো না চলায় দুর্ভোগের মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। অভিযোগ, গড়িয়া থেকে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী অটো চালালেও বাঘাযতীনে অটো থেকে যাত্রী নামিয়ে দেয় বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থকেরা। এর পরেই যাদবপুর থানার পুলিশ ধর্মঘট তুলতে উদ্যোগী হয়। পুলিশ জানায়, দুপুরে টুলটুল-সহ ওই গোষ্ঠীর নেতারা থানার ওসি-র সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ওসি দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেন ও ধর্মঘট তুলে নিতে অনুরোধ করেন।
তবে শাসক দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, আপাতত ধর্মঘট উঠলেও দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েই গিয়েছে। আইএনটিটিইউসি-র এক নেতার কথায়, ‘‘এমন সর্বাত্মক অটো ধর্মঘট বাম আমলেও হয়নি। কাজেই, এখনই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী সাবধান না হলে ফের গণ্ডগোল লাগতে পারে।’’