উল্টোডাঙা

ভাঙা রাস্তায় প্রাণান্ত নিত্যযাত্রীদের

এক পশলা বৃষ্টি। আর তাতেই অবরুদ্ধ উত্তর কলকাতার খন্না মোড় থেকে উল্টোডাঙা স্টেশনমুখী রাস্তা। যার জেরে রীতিমতো নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৫ ০০:২৬
Share:

রুদ্ধ পথ। (ইনসেটে) বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা উল্টোডাঙা আন্ডারপাসের। ছবি: শৌভিক দে।

এক পশলা বৃষ্টি। আর তাতেই অবরুদ্ধ উত্তর কলকাতার খন্না মোড় থেকে উল্টোডাঙা স্টেশনমুখী রাস্তা। যার জেরে রীতিমতো নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

বুধবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বৃষ্টিতে ভয়াবহ আকার নিয়েছে রাস্তা। উল্টোডাঙা সেতুর নীচ থেকে শুরু হওয়া যানজট পৌঁছেছে গৌরীবাড়ি পর্যন্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এমনটা কিন্তু আগে কোনও দিন হয়নি। তবে সবটাই যে বৃষ্টির কারণে, তেমনটা মানতে নারাজ তাঁরা। তাঁদের কথায়, উল্টোডাঙা রেল সেতুর নীচের রাস্তা ভেঙে যাওয়াতেই এই যানজট।
ফলে সকালে অফিস যেতে এবং রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে চরম নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের।

কেন এই হাল?

Advertisement

এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ওই রাস্তার হাল খুবই খারাপ। এমনিতেই বাস, লরি চলার জন্য উল্টোডাঙা সেতুর নীচের অংশ অনেকটাই নীচু। তার উপরে সেখানে নিকাশি ব্যবস্থা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করা হয়নি। আবার নিচু রাস্তার জল বার করার গালিপিট রয়েছে উঁচুতে। ফলে বৃষ্টি হলে জল সহজে সরতে পারে না। আর জল জমে থাকায় ক্রমশই ভাঙতে থাকে রাস্তা।

বুধবার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা গেল বাস, ট্রাক, ট্যাক্সি, অটোর লম্বা লাইন ওই রাস্তায়। সোদপুরের এক বাসিন্দা জানালেন, শোভাবাজার মেট্রো থেকে উল্টোডাঙা স্টেশন পৌঁছতে প্রতিদিনই ঘণ্টা দেড়েক সময় লেগে যাচ্ছে। এমনিতেই যানবাহনের গতি প্রায় রুদ্ধ, তার উপরে আবার মওকা বুঝে প্রায় ৫০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন ওই রুটের অটোচালকেরা।

পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, একাধিক বার ওই রাস্তা সারানো হয়েছে। কিন্তু মাস কয়েক পরেই ফের তা ভেঙে যায়। গত পুরবোর্ডে ওই এলাকার লাগোয়া দু’জন কাউন্সিলরই বিরোধী সিপিএম দলের ছিলেন। এই পুরভোটে ১৩ এবং ৩২, দু’টি ওয়ার্ডই দখল করেছে তৃণমূল। স্বভাবতই জয়ী দুই কাউন্সিলর অনিন্দ্যকিশোর রাউত ও শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু ওই ঘটনায় বিব্রত।

বিষয়টি ভাবিয়েছিল গত পুরবোর্ডের রাস্তা দফতরের মেয়র পারিষদ সুশান্ত ঘোষকেও। তিনি জানিয়েছিলেন, সেতুর নীচের ওই পথটুকু কংক্রিটের করে দেওয়া হবে। নতুন বোর্ডে পরিবর্তন হয়েছে রাস্তা দফতরের মেয়র পারিষদের। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্য রাউত বলেন, ‘‘পুরসভার বিভাগীয় কতার্দের ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ পুরসভা সূত্রে খবর, তা জানানো হয়েছে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও।

এ দিন মেয়র বলেন, ‘‘এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেতুর নীচের রাস্তাটি ঢালাই করা হবে। তাই তা বন্ধ রাখতে হবে। কোন সময়ে তা করা যাবে, পুলিশ সে বিষয়ে জানালেই কাজ শুরু করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন