ফুটপাথ অগম্য, ঝুঁকির হাঁটা পথে

সল্টলেকের এ এ ব্লক থেকে এ ই ব্লকের পিছন দিয়ে চলে গিয়েছে কেষ্টপুর খাল। সেই খাল সংলগ্ন রাস্তায় প্রতি দিন বহু মানুষ সকালে ও বিকেলে হাঁটতে যান। ওই রাস্তার বাঁ দিকে ফুটপাথ কার্যত থেকেও নেই। কোথাও কোথাও তা ভেঙে গিয়েছে।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ০১:৪৬
Share:

অবিন্যস্ত: এ ভাবেই পড়ে পেভার ব্লক। নিজস্ব চিত্র

ফুটপাথের অভাবে ঝুঁকি নিয়েই পথে বেরোচ্ছেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা।

Advertisement

সল্টলেকের এ এ ব্লক থেকে এ ই ব্লকের পিছন দিয়ে চলে গিয়েছে কেষ্টপুর খাল। সেই খাল সংলগ্ন রাস্তায় প্রতি দিন বহু মানুষ সকালে ও বিকেলে হাঁটতে যান। ওই রাস্তার বাঁ দিকে ফুটপাথ কার্যত থেকেও নেই। কোথাও কোথাও তা ভেঙে গিয়েছে। কোথাও আবার আবর্জনা ডাঁই হয়ে থাকে। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে মাঝেমধ্যে।

বাসিন্দারা খালপাড়ের ওই রাস্তা দিয়ে সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের অফিসের সামনে দিয়ে বৈশাখী বাজারে যান। ওই রাস্তাটি খালের পাশ দিয়ে এ জে ব্লকের দিকে গিয়েছে। দু’পাশে লেকটাউন এবং সল্টলেকের দিকে সৌন্দার্যায়নের কাজ চলছে। বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু খালের সংস্কার করছেন। অথচ ফুটপাথ মেরামতের উদ্যোগ নেই।

Advertisement

লেকটাউন, বাঙুর ও সল্টলেকের যে বাসিন্দারা ওই রাস্তায় হাঁটেন, তাঁরা দুষছেন পুরসভাকেই। এ ই ব্লকের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দত্ত ওই রাস্তায় ভোরে হাঁটতে যান। তিনি বললেন, ‘‘ফুটপাথ মেরামত জরুরি। আবর্জনায় ভরে গিয়েছে।’’ লেকটাউনের সন্দীপ দাসের বক্তব্য, ‘‘ফুটপাথ সারিয়ে জঞ্জালমুক্ত করতে পারলে পথচারীরা স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারবেন।’’

বিধাননগর পুরসভা সল্টলেকের বিভিন্ন খেলার মাঠ ও পার্ক সাজিয়ে তুললেও ফুটপাথগুলির দিকে সে ভাবে নজর দিচ্ছে না। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবাশিস জানা এ ই ব্লকের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘এ এ ব্লক থেকে খালপাড় ধরে এ ই ব্লক পর্যন্ত ফুটপাথ সত্যিই খারাপ। খালের সৌন্দার্যায়ন চলছে। খালের আবর্জনা ফুটপাথে ফেলা হচ্ছে। ওই কাজ শেষ হলেই আমরা ফুটপাথ মেরামত করে দেব।’’ কেষ্টপুর খালের দু’পাশে লেকটাউনের সামনে সৌন্দার্যায়নের কাজ মাস ছয় আগে শুরু হয়েছে। কবে শেষ হবে কাজ? স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু জানান, খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন