প্রতীক্ষা: নয়া পরিষেবা এখনও অমিল। ছবি:অরুণ লোধ
ডাক্তারের অভাব। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং আসবাব এলেও তাই শুরু করা গেল না বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সাধারণ পেডিয়াট্রিক বিভাগ এবং হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ)।
বর্তমানে এই হাসপাতালে মাত্র দু’জন শিশু চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যে এক জন গুরুতর অসুস্থ। ফলে ন্যূনতম চার চিকিৎসক নিয়ে শুরু হতে চলা ২৪ শয্যার সাধারণ পেডিয়াট্রিক বিভাগে চিকিৎসকের চরম ঘাটতি। শয্যা-সহ সেজে তৈরি পে়ডিয়াট্রিকের পরিষেবা বিশ বাঁও জলে। একই পরিস্থিতি ১২ শয্যার এইচডিইউ-এর। তিন শিফ্টের জন্যে সেখানে ন্যূনতম পাঁচ জন ডাক্তার লাগবে। দু’জনকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে নিয়ে আসা হবে বলে জানাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাকি তিন ডাক্তার কোথা থেকে আসবেন? জানা নেই কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এইচডিইউ শুরু হওয়ার পরে ১৮ শয্যার আইটিইউ শুরু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
হাসপাতালের মূল ভবনের দোতলায় পুরুষ বিভাগের পাশেই এইচডিইউ। ১২টি বিশেষ শয্যা, মনিটর, পাঁচটি ভেন্টিলেটর, দু’টি বাইপ্যাপ মেশিন এসেও বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে। ওই ভবনেরই চার তলায় সাধারণ পেডিয়াট্রিক বিভাগও তৈরি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পেডিয়াট্রিক বিভাগে প্রয়োজন ১২ জন নার্স এবং এইচডিইউ-এ ১০ জন। ইতিমধ্যেই সাফাইকর্মীর অভাবে জর্জরিত হাসপাতাল। নতুন বিভাগ, বিশেষত এইচডিইউ-এ আরও সাফাইকর্মী প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানান, হাসপাতালের তরফে ডাক্তার এবং নার্সের জন্যে স্বাস্থ্য ভবনে আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবন থেকে দু’জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিদ্যাসাগরে ডেপুটেশনে গিয়েছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণও চলছে। বাকি ডাক্তার ও নার্সের নিয়োগ সময় সাপেক্ষ। কারণ, চিকিৎসকের সঙ্কট চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে।