অনৈতিক: পাইপের মাধ্যমে (চিহ্নিত) খালে সরাসরি পড়ছে শৌচালয়ের বর্জ্য। নিজস্ব চিত্র
শুধু জলাভূমি ভরাট নয়, তা সংরক্ষণ করতে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলছে পুর প্রশাসন। এ জন্য শহরের খাল-বিল, নালা, পুকুরে যাতে নোংরা না ফেলা হয়, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও বারবার পুর প্রতিনিধিদের সে ব্যাপারে সজাগ করেছেন। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ কলকাতার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের জল নোংরা করা চলেছেই।
খালপাড়ে রয়েছে একাধিক শৌচাগার। তার জল পড়ছে খালে। একটা নয়, এমন একাধিক শৌচাগারে পাইপ লাগিয়ে জল সরাসরি ফেলা হচ্ছে খালে। এর ফলে খালের জল বিষাক্ত হয়ে উঠছে। অথচ নজরে পড়ে না পুর ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার ও জনপ্রতিনিধিদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘এখানে যত্রতত্র কেউ কাঠামো করছে, কেউ শৌচালয় বানাচ্ছে অথচ কাউন্সিলর বা পুলিশ সে সব দেখেও দেখে না। দিন দিন অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে জায়গাটা।’’
শুক্রবার কসবার রাজডাঙা এলাকায় ওই খালের ধারে গিয়ে দেখা গেল, লাইন দিয়ে পরপর রয়েছে শৌচাগার। প্রত্যেকটির থেকে একটি করে লম্বা সাদা পাইপ এসে পড়েছে খালে। কেউ শৌচাগার ব্যবহার করলেই তার জল এসে পড়ছে খালে। দূর থেকেই তা দেখা যাচ্ছে।
মেয়র হওয়ার পরে ফিরহাদ হাকিমও নির্দেশ দিয়েছিলেন, জলাভূমি সংরক্ষণের পাশপাশি জলে আবর্জনা ফেলা যাবে না। এ নিয়ে পুরসভার পরিবেশ দফতরকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এক দিকে, যখন জলাশয় সংস্কার, জল পরিষ্কার রাখা নিয়ে পুর প্রশাসনকে নজর দিতে বলা হচ্ছে, তখন পুর এলাকার ভিতরে এমন হচ্ছে কী করে?
এক পুর ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘যে যার প্রয়োজন মতো, করেছেন। সবেতেই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার মদত থাকায় আধিকারিকেরা জেনেও কিছু করতে পারেন না।’’ এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরো এলাকায়। বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘খালে কখনও শৌচাগারের জল ফেলা যায় না। এটা অবৈধ। এমন কিছু হয়ে থাকলে ভেঙে দেওয়া হবে।’