Dengue

মশার উপদ্রবে নাজেহাল বাসিন্দারা

সর্বত্রই তাদের অবাধ বিচরণ। কোথাও একটু দাঁড়ালে কিংবা রাস্তায় চলতে চলতে আচমকাই হুলের তীব্র দংশনে মালুম হয়ে যায় তাদের সদলবলে উপস্থিতি। যন্ত্রণার পাশাপাশি রয়েছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির আতঙ্কও। সব মিলিয়ে কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আজাদগড় ও অশ্বিনীনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় মশার উপদ্রবে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:১০
Share:

সকাল হোক বা সন্ধ্যা, ঘরের বাইরে হোক বা ভিতরে। সর্বত্রই তাদের অবাধ বিচরণ। কোথাও একটু দাঁড়ালে কিংবা রাস্তায় চলতে চলতে আচমকাই হুলের তীব্র দংশনে মালুম হয়ে যায় তাদের সদলবলে উপস্থিতি। যন্ত্রণার পাশাপাশি রয়েছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির আতঙ্কও। সব মিলিয়ে কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আজাদগড় ও অশ্বিনীনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় মশার উপদ্রবে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, জানলা খুললেই দলে দলে ঢুকে পড়ে মশার দল। আবাসনের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, পুরসভার তরফে থেকে সক্রিয় পদক্ষেপ না করার কারণে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মশার উৎপাত।

আজাদগড় থেকে অশ্বিনীনগর— ঘিঞ্জি এই এলাকায় মশার উপদ্রব খুব বেশি। এক বাসিন্দা জানান, অলিগলির ভিতরে কোথাও দাঁড়ানো যায় না। গা ঘেঁষাঘেষি করে থাকা একের পর এক আবাসনের ফাঁক গলে রোদ-বাতাস মেলা কষ্টকর। ফলে সব সময়ে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ থাকে। এই কারণকেও মশার বাড়বাড়ন্তের একটা বলে মনে করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগ আরও, পুরসভার তরফ থেকে নিয়মিত মশা নিধনের স্প্রে করা হয় না। এতেই বেড়েছে মশা বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

যদিও কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, শহরের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বছরের শুরু থেকেই মানুষকে সচেতন করতে রেডিও এবং মাইকে প্রচার চলছে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষক আবাসনে কয়েক জন শিক্ষক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি এসএসকেএম-এ মিলেছে ডেঙ্গি মশার লার্ভা।
তাই প্রশ্ন উঠছে শহর জুড়ে মশা নিধনে আদৌ কতটা সক্রিয় কলকাতা পুরসভা।

স্থানীয় কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্তের দাবি, ‘‘আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গির কোনও খবর নেই। মশা মারতে যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হয় পুরসভার পক্ষ থেকে। তবুও অভিযোগ যখন উঠছে খোঁজ নেব।’’ মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘মশা মারতে নিয়মিত স্প্রে করা হয়। ওই এলাকা থেকে এখনও ডেঙ্গির কোনও খবর পাইনি। তবুও দেখবো।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন