বেলি ব্রিজ নয়, টালি নালার উপরে হবে স্থায়ী সেতু

মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়া এবং টালিগঞ্জের করুণাময়ী সেতুতে গর্ত তৈরি হওয়ার পরেই অস্থায়ী ভাবে দু’টি বেলি ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার এবং কৌশিক ঘোষ 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৪০
Share:

বেহালা এবং ঠাকুরপুকুরে যাতায়াতের সমস্যা মেটাতে তৈরি হবে স্থায়ী সেতু। —ফাইল চিত্র।

মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে বেহালা এবং ঠাকুরপুকুরে যাতায়াতের সমস্যা মেটাতে টালি নালার উপরে দু’টি বেলি ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু পরে ঠিক হয়, বেলি ব্রিজ নয়, তৈরি হবে স্থায়ী সেতু। সেই মতো গত সপ্তাহ থেকে ওই দুই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। সেতু দু’টি তৈরি করছে কেএমডিএ। চার মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়া এবং টালিগঞ্জের করুণাময়ী সেতুতে গর্ত তৈরি হওয়ার পরেই অস্থায়ী ভাবে দু’টি বেলি ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বলা হয়েছিল, একটি হবে করুণাময়ী সেতুর পাশে। বেহালার দিক থেকে আসা সব গাড়ি ওই সেতু ধরে এসে পৌঁছবে উত্তমকুমার সরণিতে। দ্বিতীয় বেলি ব্রিজটি যোগ করবে নিউ আলিপুরের বি এল শাহ রোড এবং টালিগঞ্জের ইজাজাতুল্লা রোডকে। মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রস্তাবিত ওই দুই সেতুর জায়গা পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন, জানুয়ারির মধ্যেই বেলি ব্রিজ দু’টি তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু পরে কেএমডিএ-র তরফে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে স্থায়ী সেতু তৈরি করা হবে বলে ঠিক হয়।

দফতর সূত্রের খবর, বেলি ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণে খরচ অনেক বেশি। পাশাপাশি, তার উপর দিয়ে একসঙ্গে অনেক গাড়ি যাতায়াতের অসুবিধা রয়েছে। সেই সঙ্গে স্থায়ী সেতু না থাকায় টালি নালার দু’পাশের বাসিন্দাদের অনেক ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। সে কারণে কেএমডিএ মনে করছে, এক বার স্থায়ী সেতু তৈরি হয়ে গেলে সব সমস্যাই মিটবে।

Advertisement

সূত্রের খবর, করুণাময়ী রোডের যে অংশে টালি নালার উপরে স্থায়ী সেতু তৈরি হবে, তা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে বিতর্ক উঠেছিল। টালি নালার উপরে স্তম্ভ নির্মাণ করলে সেখানে যাতে নাব্যতা এবং নিকাশির অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই কারণে নকশা পাল্টে টালি নালার দু’পারে সেতুর স্তম্ভ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, দু’টি সেতুর ক্ষেত্রেই দু’দিকের রাস্তা চওড়া করা হবে। ওই কাজের জন্য একটি ক্লাবের জমির কিছু অংশ নেওয়ারও প্রস্তাব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষকে আড়াই মিটার রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সে জন্য নতুন করে পাঁচিল এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, ওই জমির ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, দু’টি সেতু তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় ১৩ কোটি টাকা।

পুলিশ জানিয়েছে, যে সেতুটি বি এল শাহ রোড এবং ইজাজাতুল্লা রোডকে যুক্ত করবে, সেটি দিয়ে খুব সহজেই প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে পৌঁছে যাওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ওই রাস্তা হবে একমুখী। এর ফলে টালিগঞ্জ সেতুর উপরে গাড়ির চাপ কমবে বলে দাবি পুলিশের। একই সঙ্গে সিরিটি শ্মশানের দিক থেকে আসা সব গাড়ি দ্বিতীয় সেতু ধরে করুণাময়ী মোড়ের যানজট এড়িয়ে সহজেই টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের কাছে চলে আসতে পারবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন