ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিল ক্যামেরার চোখ। চক্রীরা চম্পট দিলেও ক্যামেরায় ধরা ছবির ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে তাদের বিরুদ্ধে। বড়বাজার এলাকার ঘটনা।
পরিকল্পনা ছিল, কিছু মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বৃত্তেরা এক ব্যবসায়ীর উপর চড়াও হবে। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে হাত-পা চালালেই মহিলারা তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে চিৎকার জুড়ে দেবেন। আশপাশের লোকজনও জড়ো হয়ে যাবে। যাঁদের পরে সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া যাবে পুলিশের কাছে। তবে হল উল্টোটা।
শুক্রবার ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুলের কাছে, নেতাজি সুভাষ রোডে যখন দোকান খুলতে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী গৌরহরি মণ্ডল, তিন মহিলা ও তিন-চার জন যুবক তখন চড়াও হয়। গৌরহরিবাবুর হতচকিত ভাব কাটার আগেই তারা ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করে।
তবে ঠিক তখনই বড়বাজার থানায় বসে টিভি-র পর্দায় ওই ঘটনার ‘লাইভ’ দেখেন পুলিশকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে ছোটেন। পুলিশ দেখেই দুর্বৃত্তেরা পালায়। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, এক আত্মীয়ের সঙ্গে তাঁর পুরনো বিবাদই সম্ভবত এই ঘটনার পিছনে আছে। বড় রাস্তা, অলিগলি— সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দিচ্ছে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ-ই গত বছর অগস্টে ব্রেবোর্ন রোড থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনে জড়িতদের হদিস পেতে সাহায্য করেছিল।