লুঠের আগে ব্যাঙ্কেই লুকিয়ে ছিল সফিকুল

সফিকুলকে জেরা করার পরে পুলিশ জেনেছে, ১৯ অগস্ট দুপুর  দু’টো নাগাদ ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল ওই দুষ্কৃতী। এর পরে সিঁড়ির নীচে এক চিলতে জায়গায় লুকিয়ে পড়ে সে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরে ব্যাঙ্কের কর্মী ও অফিসারেরা চলে যেতেই সিঁড়ির তলা থেকে বেরিয়ে ‘অপারেশন’ চালায় বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরদারি এড়িয়ে গিয়ে, ব্যাঙ্কের ভিতরেই সিঁড়ির আড়ালে কয়েক ঘণ্টা ধরে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে ছিল হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবারই অভিযুক্ত সফিকুল ইসলামকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে হাওড়া রেল পুলিশ।

Advertisement

সফিকুলকে জেরা করার পরে পুলিশ জেনেছে, ১৯ অগস্ট দুপুর দু’টো নাগাদ ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল ওই দুষ্কৃতী। এর পরে সিঁড়ির নীচে এক চিলতে জায়গায় লুকিয়ে পড়ে সে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরে ব্যাঙ্কের কর্মী ও অফিসারেরা চলে যেতেই সিঁড়ির তলা থেকে বেরিয়ে ‘অপারেশন’ চালায় বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম। মাঝ রাতে ব্যাঙ্কের একটি জানালার গ্রিল কেটে প্রায় লক্ষাধিক নগদ টাকা লুঠ করে নিয়ে পালিয়ে যায় সে।

কালীপুজোর কিছু পরে ওই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে গ্রেফতার করেছিল নিউ মার্কেট থানার
পুলিশ। এর পর থেকে জেল হেফাজতেই ছিল সে। জানা যায়, পুজোর সময় ষষ্ঠীর রাতে সে ধর্মতলার একটি ব্যাঙ্কের ভল্ট সাফ করে দিয়েছিল। পরে জেরা করে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে ধর্মতলা ছাড়াও হাওড়া স্টেশনের ঘটনাতেও যুক্ত সফিকুল। এর পরেই ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল হাওড়া রেল পুলিশ।

Advertisement

ধৃতকে জেরার পরে রেল পুলিশের দাবি, অগস্টের ওই ঘটনার আগে সে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেল উঠেছিল। পরে ওই ব্যাঙ্কে এসে রেইকি করে যায়। তদন্তকারীদের দাবি, সফিকুল হিলিতেই বসবাস করত। হাওড়া স্টেশনে ওই অপরাধ করার পরে হিলিতে গিয়েই আশ্রয় নিয়েছিল সে। পরে পুজোর সময় ফের কলকাতায় এসে ধর্মতলার ওই ব্যাঙ্কের ভল্ট কেটে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে পালায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন