মধ্যরাতে পুলিশকে মারধর মত্ত ত্রয়ীর

পুলিশ জানিয়েছে, যাদবপুরের বাসিন্দা তপন, লেক এলাকার বাসিন্দা তিতাস ও গড়ফার ঈপ্সিতা গন্ডগোলের পরে নিজেরাই গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ বন্দর থানায় হাজির হয়। কিয়স্কের পুলিশকর্মীরা তাঁদের শৌচালয়ের চাবি দেননি এই মর্মে থানায় অভিযোগ জানাতে চায় তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০১:৩৬
Share:

আবার আক্রান্ত হল পুলিশ। এ বার প্রিন্সেপ ঘাটে। রবিবার রাতে প্রিন্সেপ ঘাটে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন জন। ধৃতদের নাম তপন নন্দী (৫০), তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায় (৩৬) এবং ঈপ্সিতা সেনগুপ্ত (২৬)।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এই তিন জন গাড়িতে করে প্রিন্সেপ ঘাটে আসে। রাত বারোটার পরে প্রিন্সেপ ঘাটে ঢোকা নিষেধ হলেও তারা তা অমান্য করে গঙ্গার ধারে পুলিশ কিয়স্কে চলে যায়। পাশেই কলকাতা পুরসভার শৌচালয়। সেটি তখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিয়স্কে তারা শৌচালয়টির চাবি চায়। তখন সেখানে ডিউটি করছিলেন দুই পুলিশকর্মী। শৌচালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে পুলিশের সঙ্গে ওই তিন জনের বচসা বাধে। মত্ত অবস্থায় তারা এক পুলিশকর্মীকে মারধর করলে অন্য জন দক্ষিণ বন্দর থানায় খবর দেন। অভিযোগ, থানা থেকে পুলিশ গেলে এক আধিকারিকের জামার পকেট ছিঁড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, যাদবপুরের বাসিন্দা তপন, লেক এলাকার বাসিন্দা তিতাস ও গড়ফার ঈপ্সিতা গন্ডগোলের পরে নিজেরাই গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ বন্দর থানায় হাজির হয়। কিয়স্কের পুলিশকর্মীরা তাঁদের শৌচালয়ের চাবি দেননি এই মর্মে থানায় অভিযোগ জানাতে চায় তারা।

Advertisement

থানাতেও তারা অশালীন আচরণ করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাতেই মহিলা পুলিশ ডেকে এনে মত্ত দুই যুবতীকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। তপন দক্ষিণ বন্দর থানাতেই থাকে। তিন জনকেই সোমবার সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা তপনের নেশা। তার কাছে একটি ওয়াকিটকি মিলেছে। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। গা়ড়িতে মদের বোতলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন