সল্টলেকে এক আবাসিকের বাড়ি বেআইনি ভাবে হস্তান্তরের ঘটনায় বর্তমানে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অনুপম দত্তের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশের দাবি, অনুপমবাবুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাঁরই বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
১১ অগস্ট জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে অনুপমবাবুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালতে তাঁর ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ হেফাজত শেষে তাঁকে ফের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। এ দিন অবশ্য পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিতে আবেদন করেনি। তবে অনুপমবাবুর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
সম্প্রতি সল্টলেকের বাসিন্দা দীপ্তি সেন পুলিশে অভিযোগে জানান, তাঁর দিদি বাণী দে’র মৃত্যুর পরে বিডি ব্লকে দিদির বাড়ি হস্তান্তর নিয়ে কি করা যায় এ নিয়ে তৎকালীন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (পূর্ত) অনুপম দত্তের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। অভিযোগ, মধুসূদন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দীপ্তিদেবীর আলাপ করিয়ে দেন অনুপমবাবু। পরে দীপ্তিদেবী জানতে পারেন, মধুসূদন বাড়ি হস্তান্তর সংক্রান্ত যে সব নথি তাঁকে দেখিয়েছেন তা জাল।
অনুপমবাবুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েই পুলিশ সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, অনুপমবাবুর বাড়ি থেকে ওই বাড়িটির হস্তান্তরের বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাতে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ নিশ্চিত, ওই বাড়ি হস্তান্তরে অনুপমবাবুর ভূমিকা রয়েছে।