শহরে একের পর এক খুন। কিন্তু মাস ঘুরে গেলেও অভিযুক্তের নাগাল পাচ্ছে না পুলিশ। কখনও আবার খুনের কয়েক বছর পরে মৃতের পরিচয়টুকুও অজানা থেকে যাচ্ছে। এখনও কিনারা না হওয়া বেশ কিছু খুনের ঘটনা নিয়ে চিন্তায় লালবাজারের তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৫ ডিসেম্বর লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বাসন্তী হাইওয়ের পাশে খালের ধারে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। গলায় ফাঁস লাগানো, বছর তিরিশের ওই মহিলার দেহ খালে ভাসতে দেখেন স্থানীয়েরা। কিন্তু দু’মাস পরে এখনও ওই মহিলার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। কেন ও কী ভাবে খুন, তা নিয়েও অন্ধকারে পুলিশ। গত ৩১ ডিসেম্বর তিলজলা থানা এলাকার তপসিয়া রোডের একটি লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ী শৈলেন অধিকারীর (৫৪) দেহ। এ ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তের নাম-পরিচয় জানা গেলেও আজও তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তিলজলার বাসিন্দা, অভিযুক্ত শেখ আনোয়ারকে ধরতে ওড়িশা, চেন্নাই, পুণেতে অভিযান চালিয়েও তার নাগাল পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা জানান, ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে পশু হত্যার দায়ে মামলা রুজু হয়। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওড়িশা ও লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় অল্প সময়ের জন্য আনোয়ার হাতছাড়া হয়। তবে হাল ছাড়িনি। থানা ছাড়াও লালবাজারের হোমিসাইড শাখা তদন্ত করছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের অগস্টে ময়দান থানা এলাকার স্ট্র্যান্ড রোডে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর র্যাম্পের নীচে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরেরই নভেম্বরে ময়দান থানার উট্রাম রোডে উদ্ধার হয় এক মহিলার দেহ। দু’টি ঘটনাতেই আজ পর্যন্ত মৃতদের শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সে সময়ে দুই মৃতদেহের চোখের মণি সংক্রান্ত তথ্য ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (ইউআইডিএআই)-কে দিয়ে তাদের আধার কার্ডের মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই অনুমতি দেয়নি। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘ওই মৃতদের পরিচয় জানতে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ছবি পাঠানো হয়েছে। ভিন্ রাজ্যের থানার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। বিভিন্ন সোর্স কাজে লাগানো হচ্ছে।’’