গায়ে আগুনের হুমকি, উচ্ছেদে বাধা

এ দিন বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ আদালতের লোকজন পুলিশ নিয়ে যায়। বলা হয় ৮০ বোসপুকুর রোডের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে হবে। পুলিশের সাহায্য দরকার। পুলিশের দাবি, সেই মতো বাহিনী দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০১:০১
Share:

উচ্ছেদের পরে ছড়িয়ে মালপত্র। শুক্রবার, কসবায়। নিজস্ব চিত্র

আদালতের নির্দেশে একটি বাড়ির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে এসে বাধা পেল পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার, কসবা থানা এলাকায়। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ নিয়ে পুলিশ এলে কয়েক জন গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাধা দেয় এবং উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁদের মধ্যে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ দিন বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ আদালতের লোকজন পুলিশ নিয়ে যায়। বলা হয় ৮০ বোসপুকুর রোডের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে হবে। পুলিশের সাহায্য দরকার। পুলিশের দাবি, সেই মতো বাহিনী দেওয়া হয়। আদালতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় পৌঁছতেই স্থানীয় লোকজন তাঁদের ঘিরে ধরে এবং আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে বাধা দেওয়া হয়। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা কিছু বলার আগেই গুণ্ডা নিয়ে এসে পুলিশ ঢোকে এবং বাড়ির ভিতর থেকে জিনিস বার করে দেয়।

Advertisement

ওই বাড়ির বাসিন্দা গৌর দত্ত জানান, ১৯৪৮ সালের পরে পূর্ববঙ্গ থেকে তাঁর মা চার বোনকে নিয়ে কলকাতা পালিয়ে আসেন এবং ওই বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন। এই জমির মালিক নগেন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পুষ্পরানি ঘোষ। নগেন্দ্র এবং পুষ্পরানির মৃত্যুর পরে বাড়ির মালিকানা পান তাঁদের মেয়ে অলকা সরকার। কিন্তু তাঁকে তিনি দেখেননি বলেই দাবি গৌরবাবুর। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কসবা থানা থেকে পুলিশ এসেছিল। কিন্তু আমি তখনও অফিস থেকে ফিরিনি। পরে এসে রাতে থানায় গেলে বলা হয়, উচ্ছেদের নোটিস এসেছে। সকালে উঠে যেতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কয়েক ঘণ্টার নোটিসে আমাদের উচ্ছেদের কথা বলা হল। এই সময়ে আমরা কোথায় যাব?’’ অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কিছু দুষ্কৃতীও এসেছিল। তারা এসে ভাঙচুর করতে শুরু করে। এ দিন ভাঙচুর, ধাক্কাধাক্কির সময়ে পড়ে গিয়ে ঈশান নস্কর নামে পাঁচ বছরের এক শিশু চোখে আঘাত পায়। যদিও পুলিশ ভাঙচুর কিংবা ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানায়, তারা শুধুমাত্র আদালতের নির্দেশ পালন গিয়েছিল। গুণ্ডা নিয়ে যাওয়ার কথাও অস্বীকার করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন