শ্বশুরকে ‘বাঁচালেন’ পুত্রবধূ

হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, গোলাবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা কিষাণকুমার সিংহানিয়া সম্প্রতি অভিযোগ করেন, তাঁর বাবা মনোহরলাল সিংহানিয়া কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। সেই তথ্য গোপন করে নিম্ন আদালত থেকে তাঁদের সম্পত্তি বিক্রির জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৮
Share:

মৃত শ্বশুরকে জীবিত দেখিয়ে তাঁকে দিয়ে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ করানো হয়েছে বলে আদালতে জানাল পুলিশ!

Advertisement

হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, গোলাবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা কিষাণকুমার সিংহানিয়া সম্প্রতি অভিযোগ করেন, তাঁর বাবা মনোহরলাল সিংহানিয়া কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। সেই তথ্য গোপন করে নিম্ন আদালত থেকে তাঁদের সম্পত্তি বিক্রির জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বার করা হয়েছে। কিষাণের আরও অভিযোগ, ওই নথিতে মনোহরলালের যে সই রয়েছে সেটি জাল। সই জালের পিছনে তাঁর বউদি সুমনদেবীর হাত রয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্থানীয় প্রোমোটার প্রমোদ পাটোয়ারির নামে ওই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কিষাণ। নিম্ন আদালত থেকে প্রমোদ ইতিমধ্যেই আগাম জামিন পেয়েছেন। ওই আদালত থেকেই জামিন পান সুমনদেবী। পুলিশি-তদন্তে গাফিলতির কারণেই বউদি জামিন পেয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে কিষাণ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দিন কয়েক আগে মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে। বিচারপতি বসাক ওই দিন পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

সোমবার ছিল মামলার পরবর্তী শুনানি। সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় এ দিন আদালতে জানান, তদন্তকারীরা ওই জাল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাজেয়াপ্ত করেছেন। কিষাণদের সম্পত্তির মূল দলিলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জাল নথিতে থাকা সইটি আদৌ মনোহরলালের কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি হস্তরেখা বিশারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

শাশ্বতগোপালবাবু আরও জানান, নিম্ন আদালত অভিযুক্ত সুমনদেবীর জামিন মঞ্জুর করলেও তা খারিজ করার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেই আবেদনের শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন