—ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পশুপ্রেমীদের বিক্ষোভ ঘিরে গোলমালের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রের খবর, পশুপ্রেমীদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে হেনস্থা এবং এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার ধারায় মামলা হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ দায়েরের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পশুপ্রেমীরাও। অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমাদের মারধর করে আমাদেরই সাত জনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে বলে শুনলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছি। থানাতেও অভিযোগ করব আমরা।’’
সম্প্রতি ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ (এন আর এস) হাসপাতালের দুই নার্সিং পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করলেও পরে ধৃতেরা জামিন পান। এর পরেই ওই দু’জনের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পশুপ্রেমীরা। মঙ্গলবার তাঁরা করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত মিছিল করেন। রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। সেখানেই রাত ১টা নাগাদ পুলিশ ঢুকে লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ পশুপ্রেমীদের। ১৫ জন পশুপ্রেমীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠাতে হয় বলেও দাবি। অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তও আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা এলাকায়।
বিধাননগর পুলিশের তরফে অবশ্য লাঠিচার্জ বা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করা হয়েছিল, পশুপ্রেমীরাই রাতে মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। গালিগালাজ করা ও সরকারি কর্মীকে হেনস্থা করারও অভিযোগ করা হয়েছিল পুলিশের তরফে।
পুলিশ এ-ও দাবি করে যে, ঘটনার দিন যে পশুপ্রেমীরা গোলমাল করেছেন, তাঁদের ধরতে গেলে তাঁরা পালিয়ে যান। পুলিশের ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার হলে আরও আগেই নিত। যদিও সোশ্যাল সাইটে পুলিশের সঙ্গে পশুপ্রেমীদের খণ্ডযুদ্ধের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অনেকেই দাবি করেছেন, পশুপ্রেমীরা যদি সত্যিই পালিয়ে গিয়ে থাকেন, তা হলে পুলিশ কাদের জোর করে রাস্তা থেকে তুলছে? তবে ভিডিয়োটির সত্যতা কে যাচাই করবেন, তা নিয়েও উঠেছে পাল্টা প্রশ্ন। মামলা রুজু করার বিষয়ে সরকারি ভাবে অবশ্য বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।