এই বুলেটটি (বাঁ দিকে) চাল ফুঁড়ে ঢুকে আঘাত করে বাসনপত্রে। মানিকতলার ক্যানাল ইস্ট রোডে।—ফাইল চিত্র।
মানিকতলায় চাল ফুঁড়ে ঘরে ঢোকা বস্তুটি আদৌ গুলি কি না, তা নিয়ে চার দিন পরেও সংশয় কাটল না পুলিশের। ওই ঘটনা প্রাণঘাতী হতে পারত বললেও ‘গুলি’টি পরীক্ষার পরেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন মানিকতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
দীপাবলির রাতে মানিকতলার ক্যানাল ইস্ট রোডের ওই ঘটনায় রবিবার সকাল থেকেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যে বাড়িতে ওই ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানের বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। থানা থেকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা।
দীপাবলিতে রাত সওয়া ১২টা নাগাদ ওই তিনতলা বাড়ির টিনের চাল ফুঁড়ে ঘরে গুলি ঢুকে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন গৃহকর্তা রতন সরকার। তাঁর মেয়ে পূজা বেসিনে হাতে ধুতে যাওয়ার সময়েই ঘটে এই বিপত্তি। রতনবাবুর দাবি, গুলিটি বেসিন এবং বেসিনের উপরে রাখা থালা ফুটো করে দেয়। খোঁজাখুঁজির পরে একটি দেড় ইঞ্চির গুলির খোলও উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গুলির খোলটি উদ্ধার করে।
রবিবার সকালে পুলিশ ফের ওই বাড়িতে যায়। ছিদ্র হয়ে যাওয়া থালাটি এ দিন তদন্তের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেই সঙ্গে নতুন করে রতনবাবুর বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়। পরে তাঁকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়, এই ঘটনায় রতনবাবুর কারও উপরে সন্দেহ হয় কি না। এ নিয়ে রতনবাবু বলেন, ‘‘যা বলার, পুলিশকে বলেছি। এ রকম যেন আর না ঘটে সেটা পুলিশ নিশ্চিত করুক।’’ মানিকতলা থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বয়ান নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’