রজত ও অনিন্দিতা
গোটা ঘটনাক্রমের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ‘মিসিং লিঙ্ক’। আর সেই গেরোতেই আটকে আছে আইনজীবী রজত দে-র মৃত্যু-তদন্ত।
ওই আইনজীবী খুন হয়ে থাকলে খুনির ‘মোটিভ’ কী ছিল, সে সম্পর্কেও কার্যত অন্ধকারে তদন্তকারীরা। দাম্পত্য কলহের বিষয়টি সামনে এলেও সেটাকেই মুখ্য বলে এখনই মানতে নারাজ পুলিশ। রজত মারা যাওয়ায় তার থেকে কে, কতটা, কী ভাবে লাভবান হতে পারতেন, সেটাও এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
রজতের মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতার যোগসূত্র সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু শুরু থেকেই অনিন্দিতা ওই ঘটনা সম্পর্কে বারবার বয়ান বদলেছেন। পুলিশের একাংশের অনুমান, কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আড়াল করতেই বারবার বয়ান বদলেছেন ওই অভিযুক্ত। পুলিশের মতে, ফরেন্সিক এবং ভিসেরা রিপোর্ট এসে গেলে ঘটনাক্রম সম্পর্কে নিশ্চিত একটি ধারণা তৈরি করা সম্ভব হবে।
অনিন্দিতা জেরায় দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যা করার ভয় দেখাতেন। মৃত্যুর দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রজতের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনিন্দিতার দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও অনিন্দিতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না।
ময়না-তদন্তে রজতের দেহে যে বিভিন্ন ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, সেটাও তৈরি করেছে ধোঁয়াশা। সেই সমস্ত ক্ষতচিহ্ন পুরনো আঘাতজনিত কি না, তা জানতে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছে পুলিশ।