যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে গিয়েছিল ওই ছাত্র। — ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হত, কী ঘটত তাঁদের সঙ্গে, তারই আঁচ পেল পুলিশ। শুক্রবার প্রথম বর্ষের কয়েক জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের থেকেই এই বিষয়ে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, সিনিয়রের উপস্থিতি এবং অনুমতি ছাড়া বাড়িতেও ফোন করতে পারতেন না নতুন পড়ুয়ারা। শৌচালয় থেকে ঘর— সবই পরিষ্কার করতে হত তাঁদের। মৃত ছাত্রকেও কি এ সব করতে হয়েছিল? এখন তা-ই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শুক্রবার বেশ কয়েক জন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, রোস্টার তৈরি করে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো হত। সেই কাজের তালিকায় রয়েছে, শৌচালয় এবং ঘর পরিষ্কার, সিনিয়রদের ভাত বেড়ে দেওয়া, মশারি টাঙিয়ে দেওয়ার মতো কাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, উচু ক্লাসের পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে, তাঁদের অনুমতি নিয়ে তবেই বাড়িতে ফোন করতে হত নতুন পড়ুয়াদের। মৃত ছাত্রের মায়ের দাবি, ছেলে যখন তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন, তখন সেই ফোন নিয়ে কথা বলেন অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী। আশপাশে সে সময় ছিলেন আরও কয়েক জন ছাত্র। মৃত ছাত্রের মা জানিয়েছেন, তিনি র্যাগিং নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলে সৌরভ তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, এ রকম কিছু হবে না। পরে অন্য এক জনের ফোন থেকে মৃত ছাত্রের বাড়িতে ফোন করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আরিফের মোবাইল থেকে ফোন করা হয়েছিল। ওই ছাত্রকে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়েছিল কি না, তা-ও এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন অভিযুক্ত সৌরভ ছাত্রের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তারও খোঁজ চলছে।