অনুমতি ছাড়াই মেলা, হাতির খেলা

সার্কাসে হানা দিয়ে উদ্ধার তিন নাবালক

কোনও অনুমোদন ছাড়াই সার্কাসে হাতির খেলা দেখানো হচ্ছিল। ওই সার্কাসে ১৪ বছরের কম কিশোরদের দিয়ে খেলা দেখানো হচ্ছিল। এ অভিযোগ পেয়ে সল্টলেকের বৈশাখী আবাসনের মাঠে চলা ওই সার্কাস থেকে মঙ্গলবার তিনটি কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধরা হয়েছে সার্কাসের সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৫ ০২:০১
Share:

এই সেই হাতি। বৈশাখী আবাসনের মেলার মাঠে তোলা নিজস্ব চিত্র।

কোনও অনুমোদন ছাড়াই সার্কাসে হাতির খেলা দেখানো হচ্ছিল। ওই সার্কাসে ১৪ বছরের কম কিশোরদের দিয়ে খেলা দেখানো হচ্ছিল। এ অভিযোগ পেয়ে সল্টলেকের বৈশাখী আবাসনের মাঠে চলা ওই সার্কাস থেকে মঙ্গলবার তিনটি কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধরা হয়েছে সার্কাসের সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তিকে। ধৃতেরা হল গোপাল সিংহ এবং দুলাল চক্রবর্তী। ধৃতদের বিধাননগর আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। উদ্ধার হওয়া নাবালকদের হোমে পাঠানোরও নির্দেশ হয়েছে।

Advertisement

মে মাসের ৯ তারিখ থেকে এক মেলা শুরু হয় বৈশাখী আবাসনে। সেখানে সার্কাসেরও আয়োজন করা হয়। যদিও কারা ওই মেলার আয়োজন করেছিলেন সে সম্পর্কে ধোঁয়াশা আছে। স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের রেবেকা সুলতানার দাবি, সার্কাসের অনুমতি ছিল বলেই তাঁকে বলা হয়েছিল। তিনি কিছু জানেন না। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও বৈশাখি আবাসনের পুজো কমিটির একাংশের বক্তব্য, সার্কাস বা মেলা সম্পর্কে কাউন্সিলর সবই জানেন। যে দিন সার্কাস শুরু হয় তখন থেকেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। সেই সার্কাসেই বছর ৪৭-এর একটি হাতিকে দিয়ে খেলা দেখানো হচ্ছিল। এই খবর পৌঁছনোর পরে নজরদারি শুরু করা হয়। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াইল্ড লাইফ অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার দফতরের পক্ষ থেকে এক আধিকারিক রাধিকা বসু বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতে অভিযুক্ত পক্ষের তরফে জানানো হয়, তাঁরা ৯০ হাজার টাকা দিয়ে হাতিটি কিনেছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা এ দিন আদালতের বাইরে বলেন, ‘‘টাকা দিয়ে হাতি কেনাও আইন বিরুদ্ধ।’’ সরকার পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে হাতিটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর আদালত। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, আইন বহির্ভূত কাজ জেনেও স্থানীয় প্রশাসন কি ভাবে সার্কাসের অনুমতি দিল?

এ বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানাকে দিনভর তাঁর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। কোনও অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না তা পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসন বলতে পারবে।’’ বিধাননগর পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, বৈশাখী আবাসনের মাঠে ওই মেলা কিংবা সার্কাস চালানোর কোনও স্তরের অনুমতি ছিল না। তাই সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ছাড়াও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, চাইল্ড লেবার প্রহিবিসন অ্যান্ড রেগুলেশন অ্যাক্টেও মামলা হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন