খালের কাদায় আটকে মহিলা, উদ্ধারে পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার পি মজুমদার রোডের কাছে একটি খালে। উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার বাড়ি গরফা থানা এলাকার পূর্বাচল স্কুল রোডে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

সদ্য ভোর হয়েছে। রাত থেকে ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মী নিজের টেবিল গোছাতে ব্যস্ত। এমন সময়ে বেজে উঠল টেলিফোন। এক ব্যক্তি ফোনে জানালেন, এক মহিলা খালের কাদায় অর্ধেক ডুবে বসে আছেন। পুলিশকর্মীর কাছে থেকে এ কথা শোনার পরেই ডিউটি অফিসার বাহিনী নিয়ে পৌঁছে গেলেন ঘটনাস্থলে। তিনি গিয়ে দেখলেন, এক মহিলা সত্যিই বসে রয়েছেন কাদার মধ্যে। তাঁর হাঁটু পর্যন্ত কাদায় ডোবা। পুলিশের গাড়ি দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয়েরাও। অফিসারের অনুরোধে তাঁরা বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন শাড়ি এবং চাদর। সেগুলি জুড়ে তৈরি করা হয় দড়ি। এর পরে পুলিশকর্মীরা কাদার মধ্যে নেমে ওই দড়ির সাহায্যে মহিলাকে উদ্ধার করেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার পি মজুমদার রোডের কাছে একটি খালে। উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার বাড়ি গরফা থানা এলাকার পূর্বাচল স্কুল রোডে। সাতান্ন বছর বয়সি ওই মহিলাকে রবিবার বিকেলে তাঁর ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন কসবা থানার অফিসার গৌরব ভট্টাচার্য।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই খালের আশপাশ ঝোপঝাড়ে ভর্তি ছিল। কাদায় নেমে মহিলাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে প্রথমে পুলিশকর্মীরা ব্যর্থ হন। এর পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অপেক্ষায় না থেকে পুলিশকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চাদর এবং শাড়ি জুড়ে দড়ি তৈরি করে পুলিশকর্মীরা খালের ঢালু অংশে নামেন। মহিলার দিকে প্রথমে ওই দড়ি ছুড়ে দেওয়া হলেও তিনি তা ধরতে চাননি। এর পরে ওই দড়ি দিয়ে আংটার মতো তৈরি করে দু’পাশ দিয়ে মহিলাকে আটকানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশকর্মীরা তাঁকে টেনে তোলেন।

Advertisement

উদ্ধার করার পরে মহিলা নিজের নাম-ঠিকানা বলতে চাননি। পুলিশ তাঁকে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে জানা যায়, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশের কাছে মহিলা অবশ্য তত ক্ষণে নিজের নাম বলেছেন। পুলিশের দাবি, নামের সূত্র ধরেই রবিবার সকালে আশপাশের এলাকায় খোঁজ শুরু হয়। ভোটার তালিকা ধরে খোঁজ চলে। পরে জানা যায়, ওই মহিলার বাড়ি পূর্বাচল স্কুল রোডে। খবর দেওয়া হয় তাঁর ছেলেকে। পুলিশ সূত্রের খবর, ছেলে এসে মাকে চিহ্নিত করেন। আলিপুরের একটি হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসা চলছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন মহিলার ছেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন