Fake CBI Officer

Fake CBI officer: মিলল ওয়াকিটকি, ভুয়ো সিবিআই অফিসারের গাড়িও বাজেয়াপ্ত

দিল্লির একটি অভিজাত হোটেল থেকে শুভদীপকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার হাওড়ায় আনার পরে তাকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২১ ০৭:৪৩
Share:

শুভদীপের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওয়াকিটকি। নিজস্ব চিত্র

যে গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে সিবিআই অফিসার সেজে ঘুরে বেড়াত হাওড়ার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মঙ্গলবার রাতে কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকার রবীন্দ্র সরণি থেকে সেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে জগাছা থানার পুলিশ। একই সঙ্গে বুধবার দুপুরে শুভদীপের জগাছার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি ওয়াকিটকি, সিবিআইয়ের জাল প্যাড-সহ বিভিন্ন নথিপত্র।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িটির খোঁজ মেলে। জানা যায় গাড়ির মালিকের নামও। এর পরে মঙ্গলবার গভীর রাতে জগাছা থানার একটি দল জোড়াবাগান থানা এলাকার ২৭৫, রবীন্দ্র সরণিতে হানা দিয়ে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে। বুধবার সন্ধ্যায় থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল গাড়ির মালিক রমেশ কায়স্থকে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, শুধু নীল বাতি নয়, ওই গাড়িতে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, সিবিআই’ লেখা বোর্ড লাগিয়েও ঘুরত শুভদীপ। ওই বোর্ডটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

দিল্লির একটি অভিজাত হোটেল থেকে শুভদীপকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার হাওড়ায় আনার পরে তাকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ ধৃতকে নিয়ে তার বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। অভিযুক্তকে দেখতে ভিড় জমে যায় স্থানীয়দের। পুলিশ জানায়, ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি ওয়াকিটকি-সহ সিবিআইয়ের জাল কাগজপত্র এবং অন্যান্য নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় শুভদীপ জানিয়েছে, সিবিআই অফিসারেরা তদন্তে গেলে যেমন ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকেন, নিজেকে সিবিআই অফিসার প্রমাণ করতে তেমন ওয়াকিটকি ব্যবহার করত সে।

Advertisement

এর পাশাপাশি যে গাড়িটিতে চেপে শুভদীপ ঘুরে বেড়াত, সেটির মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিযুক্তের যাবতীয় গতিবিধি, কার সঙ্গে তার ওঠাবসা ছিল, ওই গাড়িতে কে কে উঠত, কোথায় কোথায় যেত গাড়িটি— এই বিষয়গুলি মালিকের থেকে জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, শুভদীপ অন্তত পাঁচ বছর ধরে জালিয়াতির কারবার চালাচ্ছিল। বিভিন্ন পরিচয়ে বহু মানুষকে ঠকিয়েছে সে। এই প্রতারণার জাল কত দূর ছড়ানো এবং এই চক্রের মাথা কে, ধৃতকে জেরা করে আপাতত সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন