বেপরোয়া: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক লেন থেকে অন্য লেনে চলে যায় পুলিশের এই গাড়িটি। ধাক্কা মারে সেতুর রেলিংয়ে। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবারের পরে বুধবার। মেয়ো রোডের পরে ডাফরিন রোড। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জেরে ফের দুর্ঘটনা। এ বার তার কবলে খোদ ট্র্যাফিক পুলিশ। যা দেখাল, দুর্ঘটনা ঠেকাতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচারই সার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে বাটানগর থেকে একটি মিনিবাস হাওড়া যাচ্ছিল। ডাফরিন রোড ধরে বিপরীত মুখে মোটরবাইক চালিয়ে আসছিলেন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট সুদীপ রায়। মিনিবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন সুদীপবাবু। বাসটি তাঁর ডান পায়ের উপর চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই সার্জেন্টকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সুদীপবাবুর ডান পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ দিন ওই দুর্ঘটনার জেরে ডাফরিন রোডে প্রায় আধ ঘণ্টা যানজট হয়। দুর্ঘটনা ঘটানো বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন চালক স্বপন বিশ্বাস। উল্লেখ্য, গত রবিবারই সিগন্যাল না মেনে রাস্তা পেরোতে গিয়ে ডাফরিন রোড থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মেয়ো রোড ও রেড রোডের সংযোগস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স ও গাড়ির সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন চার জন। লালবাজারের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘পথ-দুর্ঘটনা কমাতে যতই প্রচারের ব্যবস্থা করা হোক না কেন, চালক সচেতন না হলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।’’