তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে এখনও আঁধারে পুলিশ

শঙ্খের দেহ গঙ্গায় ভাসতে দেখা গেলেও তাঁর মোবাইলটি নিউ টাউনের হাতিয়াড়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রহস্য দানা বেঁধেছে এ নিয়েও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরেও ধোঁয়াশা কাটল না পুলিশের।

Advertisement

গত ৬ ডিসেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ হওয়া রাজারহাটের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী শঙ্খ নাথের (৩২) পচাগলা দেহ সোমবার বিকেলে শিপিং জেটির কাছে গঙ্গায় ভাসতে দেখে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসাবে জলে ডুবে দুর্ঘটনাজনিত বলে উল্লেখ করা হলেও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রথমত, ওই যুবক শেষবার রাজারহাটের অফিসে থাকলে, সেখান থেকে গঙ্গায় গেলেন কেন? দ্বিতীয়ত, শঙ্খের দেহ গঙ্গায় ভাসতে দেখা গেলেও তাঁর মোবাইলটি নিউ টাউনের হাতিয়াড়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রহস্য দানা বেঁধেছে এ নিয়েও।

পুলিশ সূত্রের খবর, শঙ্খের আদি বাড়ি জামশেদপুর হলেও কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন বিরাটিতে। মৃতের মামা দমদমের বাসিন্দা মানস নাথ বলেন, ‘‘৬ ডিসেম্বর রাতে চা খাওয়ার নাম করে অফিস থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। পরের দিন সকালেও বিরাটির বাড়িতে না ফেরায় আমরা নিউ টাউন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।’’

Advertisement

মৃতের স্ত্রী সুস্মিতা ভট্টাচার্য নাথ পুলিশকে জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর নাইট শিফটের ডিউটি ছিল শঙ্খের। রাত দশটা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়েছিল। তার পর থেকে ফোন বন্ধ ছিল। তিনি পুলিশকে আরও জানান, বাগুইআটির বাসিন্দা এক বন্ধু শঙ্খের থেকে প্রায় ৯৬ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। ওই বন্ধুকে বারবার টাকা শোধ করানো নিয়ে তাগাদা দিচ্ছিলেন শঙ্খ। এমনকী, মোটা টাকা ধার নেওয়ার পরেও ফের ওই বন্ধু শঙ্খের থেকে টাকা চেয়েছিলেন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন মৃত যুবকের স্ত্রী। পুলিশ মৃতের স্ত্রীর কথার সূত্র ধরে শঙ্খের ওই বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

শঙ্খের অফিস নিউ টাউনে হলেও গঙ্গার দিকে তিনি কেন গিয়েছিলেন সে নিয়েও ধন্দে পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রের খবর, বাবা-মা’র একমাত্র সন্তান শঙ্খের দু’বছর আগে বিয়ে হয়েছে। সস্ত্রীক থাকতেন বিরাটিতে। বৃদ্ধ বাবা-মা থাকেন জামশেদপুরে। মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, বিয়ের আগে শঙ্খের সঙ্গেই বিরাটিতে থাকতেন তাঁর বাবা-মা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মৃত যুবক দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি, এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সে নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন