প্রতীকী ছবি।
রবীন্দ্র সরোবরের চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীর খুনের জট কাটাতে তাঁর ভাই জয় দাসচৌধুরীর নার্কো অ্যানালিসিস করার চিন্তা করছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, এই মর্মে চলতি সপ্তাহে কিংবা সামনের সপ্তাহে আলিপুর আদালতে আবেদন জানাতে পারে তারা। তবে তার আগে জয় দাসচৌধুরীর সম্মতি নিতে হবে পুলিশকে।
কী এই নার্কো অ্যানালিসিস? সম্মতি মিললে যাঁর নার্কো অ্যানালিসিস হবে তাঁর শরীরে এক ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। সেই অবস্থায় তদন্তকারীরা ওই ব্যক্তিকে জেরা করেন। জয়কেও এই পদ্ধতিতেই জেরা করার ভাবনা রয়েছে কলকাতা পুলিশের। গত ২২ মে অচেতন চান্দ্রেয়ীদেবীকে নিয়ে এসএসকেএমে পৌঁছন তাঁর মা এবং ভাই জয়। চিকিৎসকেরা তখনই চান্দ্রেয়ীদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হওয়ায় দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু ৫০ দিনের মাথায় ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, চান্দ্রেয়ীদেবীকে খুন করা হয়েছিল। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। চান্দ্রেয়ীদেবীর মা, ভাই, পরিচারিকা থেকে শুরু করে যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার চালককেও জেরা করেন তদন্তকারীরা। জেরায় চান্দ্রেয়ীদেবীর ভাইয়ের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি মেলে। পুলিশ জানায়, মৃতার পরিবারের তরফে পুলিশকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা করা হয়। চান্দ্রেয়ীদেবী চিকিৎসক বলে পরিচিত হলেও তদন্তে জানা যায়, তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়তে শুরু করলেও কোর্স শেষ করেননি। মা-ভাইয়ের বক্তব্যে বারবার অসঙ্গতি মেলাতেই ভাইয়ের নার্কো অ্যানালিসিস করে খুনের কিনারা করতে চাইছে পুলিশ।