পোস্তা-কাণ্ডে চার্জ গঠনে দেরি, শুরু হচ্ছে না বিচার

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই মামলায় অভিযুক্ত নির্মাণকারী সংস্থার ১০ জন-সহ ২ কেএমডিএ কর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দিলেও পরে গ্রেফতার হওয়া চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতেই পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০১:৫১
Share:

অঘটন: ভেঙে পড়ার পরে পোস্তা উড়ালপুল। ফাইল চিত্র

গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখেই ভেঙে পড়েছিল পোস্তার নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ। এর পর প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে। এ পর্যন্ত পুলিশ চূড়ান্ত চার্জশিট আদালতে জমা দিতেই পারেনি। ফলে এখনও শুরু হতে পারেনি তিন বছর আগের ওই ঘটনার বিচারপর্ব।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই মামলায় অভিযুক্ত নির্মাণকারী সংস্থার ১০ জন-সহ ২ কেএমডিএ কর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দিলেও পরে গ্রেফতার হওয়া চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতেই পারেনি। আর তার জেরেই নির্মীয়মাণ উড়ালপুল ভেঙে পড়ে ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার বিচার শুরু হতে পারছে না বলে খবর।

ইতিমধ্যে অবশ্য ওই উড়ালপুলের নীচে দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে পুলিশ মালবাহী গাড়ি কিংবা অন্যান্য বড় গাড়ি এখনও সেখানে চলাচলের অনুমতি দেয়নি।। সরকারের তরফে উড়ালপুলের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হলেও উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ কি তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুলিশ জানিয়েছে, ফরেন্সিক এবং বিশেষজ্ঞদের বেশ কিছু রিপোর্ট না মেলায় চূড়ান্ত চার্জশিট জমা পড়েনি। আবার আইনজীবীদের একাংশের দাবি, যে সব ধারায় পুলিশ প্রথম দু’টি চার্জশিট জমা দিয়েছিল তাতে সন্তুষ্ট নয় অভিযুক্তেরা। তারা আদালতে ওই ধারা খারিজের আবেদন করছে। এর ফলেই মামলায় চার্জগঠনে দেরি হচ্ছে। বর্তমানে ধৃত ১৬ জন অভিযুক্তই জামিনে মুক্ত রয়েছেন আদালতের নির্দেশে। আগামী ১৭ জুলাই ওই মামলার পরবর্তী দিন রয়েছে। ওই দিনের মধ্যে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা পড়বে বলে লালবাজারের কর্তাদের একাংশের দাবি।

২০১৬ সালে ৩১ মার্চ দুপুর ১২টা নাগাদ পোস্তার গণেশ টকিজের মোড়ের কাছে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ। যাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। ঘটনার পরে পুলিশ পোস্তা থানায় খুনের মামলা দায়ের করে নির্মাণকারী সংস্থা আইভিআরসিএলের বিরুদ্ধে। তদন্তের জন্য গোয়েন্দাদের নিয়ে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। ওই দলের সদস্যেরা ঘটনার সাত দিনের মধ্যেই গ্রেফতার করেন উড়ালপুল তৈরির বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা আইভিআরসিএলের ১০ কর্তাকে। পরে গ্রেফতার করা হয় উড়ালপুল নির্মাণের তদারকির দায়িত্বে থাকা কেএমডি-এর দুই ইঞ্জিনিয়ারকেও। পুলিশ দু’দফায় ওই ১২ জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন এবং সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনে। তদন্তকারীরা জানান, ওই চার্জশিট জমা দেওয়ার পরে পুলিশের হাতে আসে নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের নকশার ত্রুটি এবং গাফিলতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন রিপোর্ট। যার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় উড়ালপুলের নকশাকার, টেকনিক্যাল সুপারভাইজার, টেস্টিং সুপারভাইজার এবং ওই উড়ালপুলের লোহার পাত সরবরাহকারী সংস্থার এক প্রতিনিধিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন