দূষণ-রিপোর্ট প্রকাশে গড়িমসি

কলকাতা ও হাওড়ার দূষণ-সমীক্ষা শুরু হয়েছিল দু’বছর আগে। কিন্তু তার রিপোর্ট আজও সামনে আসেনি। যার পিছনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং অন্যান্য সরকারি দফতরের সমন্বয়ের অভাবের কথাই উঠে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতা ও হাওড়ার দূষণ-সমীক্ষা শুরু হয়েছিল দু’বছর আগে। কিন্তু তার রিপোর্ট আজও সামনে আসেনি। যার পিছনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং অন্যান্য সরকারি দফতরের সমন্বয়ের অভাবের কথাই উঠে এসেছে। রিপোর্ট প্রকাশে দেরি কেন, গত অগস্টে তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) জানতে চেয়েছিল একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। তারা জানিয়েছে, আরটিআইয়ের জবাবে সমন্বয়ের অভাবের কথাই জানিয়েছে পর্ষদ।

Advertisement

এ বছরে কলকাতা ও হাওড়ার বায়ুদূষণ দিল্লিকেও পিছনে ফেলছে। বৃহস্পতিবারও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের যন্ত্রে বিকেল চারটেয় বায়ুদূষণ সূচক ছিল যথাক্রমে ৩৩৬ এবং ২৫০। হাওড়ার ঘুসুড়িতে তা ছিল ২২৩। যদিও পদ্মপুকুরের যন্ত্রটি এ দিন বন্ধ ছিল। একই সময়ে দিল্লির আনন্দবিহার, ওয়াজিরপুর এবং বাওয়ানাতে দূষণ সূচক ছিল যথাক্রমে ২২১, ২৫৬, ২৫৩। কলকাতা ও হাওড়ার বায়ু মারাত্মক ভাবে বিষিয়ে যাওয়ার পরেও শুধু সমন্বয়ের অভাবে কেন সমীক্ষায় দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনটি।

পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলায় ২০১৬ সালে আদালত পর্ষদকে কলকাতা ও হাওড়ায় কোন উৎস থেকে কত দূষণ ছড়াচ্ছে, সে ব্যাপারে সমীক্ষা করতে বলেছিল। তার ভিত্তিতে জাতীয় পরিবেশ প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থা (নিরি)-কে কাজের দায়িত্ব দেয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কিন্তু সেই কাজ শেষ হয়নি।

Advertisement

পরিবেশপ্রেমী সংগঠনটির ডেপুটি ডিরেক্টর কঙ্কনা দাস বলেন, ‘‘পর্ষদ জানিয়েছে, কলকাতায় ৬টি এবং হাওড়ায় ৪টি বায়ুদূষণ পরিমাপক কেন্দ্রের তথ্য নিয়ে ওই সমীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু হাওড়া পুরসভা একটির বেশি কেন্দ্রের অনুমতি দেয়নি। ফলে ২০১৭ সালে গ্রীষ্মে হাওড়ায় সমীক্ষা করা যায়নি।’’

পর্ষদের একটি সূত্র বলছে, ২০১৭-র গ্রীষ্মে হাওড়ায় সমীক্ষা করাই যায়নি। চলতি বছরের গ্রীষ্মে তিনটি বেসরকারি কেন্দ্রের তথ্য জোগাড় করে সমীক্ষা করেন নিরি-র বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, শীতকালীন বায়ুদূষণের সমীক্ষা এখনও বাকি। পর্ষদের এক শীর্ষ বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘শীতকালীন দূষণই এখানে মাত্রাছাড়া। তাই এই রিপোর্টের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।’’

সুভাষবাবু বলছেন, ‘‘এই কাজ নিয়ে গোড়া থেকেই গড়িমসি ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সমন্বয়ের অভাব। আসলে প্রশাসন এই বিষয়টি জনগণের সামনেই আনতেই চায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন