কাজ চলছিল। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
সংস্কারের অভাবে শুকিয়েছিল জলাশয়। লেকটাউন এলাকার অন্যতম আকর্ষণ এই জলাশয়টি দিন দিন ভরে উঠছিল জঞ্জালে।
শেষ পর্যন্ত এটির পুর্নজন্ম হল। শুধু জলেই ভরে ওঠেনি, দুই ধার দিয়ে তৈরি হয়েছে রিং রোড। জলাশয়ের দুই প্রান্তে দু’টো পার্কও তৈরি হয়েছে। এলাকার বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, “এক সময় এটি ছিল এলাকাবাসীর প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার ঠিকানা। এর জল ব্যবহার করতেন বাসিন্দারা। মজে যাওয়া জলাশয়ে ফের জলে ভরিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।”
সুজিতবাবু জানিয়েছেন, এর সংস্কার করতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ন বিভাগ দিয়েছে ৭৫ লক্ষ টাকা ও সুজিতবাবুর বিধায়ক তহবিল ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা দিয়েছে বাকি টাকা। জলাশয়ের দু’ধার দিয়ে হাঁটার জন্য জন্য থাকবে আলাদা পথ। এর ধারে বাচ্চাদের খেলার জন্য একটি পার্ক ছিল। সংস্কারের অভাবে পড়েছিল সেই পার্ক। এলাকার বিধায়ক জানালেন, ওই পার্কটির সংস্কার তো হচ্ছেই সেই সঙ্গে জলাশয়ের অন্য প্রান্তে শিশুদের খেলার জন্য আরও একটি পার্ক তৈরি হয়েছে। একটির নাম আজাদ হিন্দ পার্ক। অন্যটির নাম ক্ষুদিরাম পার্ক।
এক সময় এই লেকের জলে মাছ ধরতেন এলাকাবাসী। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, কয়েক মাস ধরে জলাশয় খনন করে ফের জল ভরার কাজ হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এই উদ্যোগ দেখে ভাল লাগছে।
এর কাছেই থাকা একটি ক্লাবের সদস্যরা জানাচ্ছেন, জলাশয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শুধু পুর প্রশাসনের নয়। সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি ক্লাব সদস্যরাও এর রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।