Local

খোঁজই নিচ্ছেন না উপাচার্য, আন্দোলন তীব্র করতে চায় প্রেসিডেন্সি

সমস্যা সমাধানে প্রথমে তাঁরা আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর দ্বারস্থ বলে চিন্তাভাবনা করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ১৪:২৭
Share:

আন্দোলকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া।— ফাইল চিত্র।

হিন্দু হস্টেল খোলার দাবিতে ১৭ দিন ধরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত কাটাচ্ছেন আন্দোলকারী পড়ুয়ারা। কিন্তু, তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াও পড়ুয়াদের খোঁজখবর নেননি বলে অভিযোগ। ফলে, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু হস্টেল ফিরে পেতে আন্দোলনকারীরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Advertisement

সমস্যা সমাধানে প্রথমে তাঁরা আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর দ্বারস্থ বলে চিন্তাভাবনা করছেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও যেতে পারেন। কিন্তু এর পরেও যদি তাঁদের দাবি না মানা হয়, তা হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের মতো অনশনের পথেও হাঁটার জন্য তৈরি পড়ুয়ারা।

আন্দোলনকারী পড়ুয়া সায়ন চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, “উপাচার্য বা কর্তৃপক্ষ, কেউ আমাদের খোঁজ নেননি। গত এক সপ্তাহ ধরে উপাচার্য ক্যাম্পাসেই আসছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হচ্ছে পূর্ত দফতর দেরি করছে। আর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, পূর্ত দফতরের কোনও দোষ নেই। কোনটা ঠিক? আমরা জানতে চাই।”

Advertisement

আরও পড়ুন: যাদবপুরের প্রবেশিকা নিয়ে মামলা, হবে তদন্ত

তাঁদের অভিযোগ, পূর্ত দফতর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, তিন বছর আগে যে কাজের দায়িত্ব নিয়ে ছিল পূর্ত তফতর, তা কেন এখনও শেষ হতে চাইছে না? এর নেপথ্যে কী অন্য কোনও কারণ রয়েছে? না কি ইচ্ছে করেই দেরি করা হচ্ছে, যাতে হিন্দু হস্টেল পড়ুয়াদের থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে? আন্দোলনকারী এক পড়ুয়ার বক্তব্য, “এ বছর জানুয়ারিতে উপাচার্য বলেছিলেন, ১ অগস্টের মধ্যে হিন্দু হস্টেলের মেরামতির কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে। তার পরেই আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।”

আরও পড়ুন: হিন্দু হস্টেল নিয়ে অবস্থান অব্যাহত

যদিও উপাচার্য পড়ুয়াদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সরে আসতে। তার পরেও এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তৎপরতার সঙ্গে কাজ হলেও ‘এ’ ব্লকের কাজ শেষ হতে আরও তিন মাস লাগবে। বাকি দু’টি ব্লকের সংস্কার শুরুই হয়নি। মোট তিনটি ব্লকে ৩০০ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজ জানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন