ফের গাফিলতিতে অভিযুক্ত হাসপাতাল

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল পার্ক সার্কাসের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের অসতর্কতার জন্য এক বৃদ্ধার দু’টি পা ভেঙেছে বলে পরিবারের তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে কড়েয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০০:১৬
Share:

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল পার্ক সার্কাসের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের অসতর্কতার জন্য এক বৃদ্ধার দু’টি পা ভেঙেছে বলে পরিবারের তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে কড়েয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা সুরাইয়া আখতার জ্বর, বমি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে গত ১ এপ্রিল পার্ক সার্কাসের ডক্টর এস এস চ্যাটার্জি হার্ট রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি হন। তাঁর ছেলে সলমান আখতারের অভিযোগ, ‘‘৩৫ বছর ধরে মায়ের কোমরের নীচের অংশ অসাড়। হাঁটাচলা করতে পারেন না। ভর্তি করানোর সময়ে চিকিৎসক ও নার্সদের তা বুঝিয়ে বলা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোর করে মাকে বারবার বসিয়েছিলেন। হাসপাতালের গাফিলতির জন্যই মায়ের দু’টি পা ভেঙে গেল।’’ আরও অভিযোগ, ‘‘বিল বাড়ানোর জন্য মাকে জোর করে আইসিসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়। খরচ বেড়ে যাওয়ার জন্য ৬ এপ্রিল মাকে ছাড়িয়ে বাড়ি নিয়ে আসি।’’ সুরাইয়ার অভিযোগ, ‘‘নড়াচড়া করতে পারি না। চব্বিশ ঘণ্টা শুয়ে থাকি। তা সত্ত্বেও হাসপাতালের নার্স, কর্মীরা আমাকে জোর করে বসিয়েছিলেন। আমার পা ব্যথা হাসপাতালে থাকতে থাকতেই শুরু হয়। বাড়ি ফিরে তা আরও অসহ্য হয়।’’

কড়েয়া থানায় লিখিত অভিযোগে সলমান জানান, ৬ এপ্রিল দুপুরে বাড়ি ফেরার পরেই মায়ের দু’টি পা ফুলতে শুরু করে। তাঁকে সে দিনই বিকেলে ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্স-রে রিপোর্টে পা ভাঙার বিষয়টি ধরা পড়ে। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার এস এস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরে রোগীর পা ভাঙল। তা হলে আমাদের গাফিলতি কোথায়? আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন