flyover

শহরে যানজট এড়াতে তিন সেতুর প্রস্তাব

টালা সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য আর জি কর সেতু, চিৎপুর সেতু এবং লকগেট সেতুতে গাড়ির চাপ বেড়েছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২১ ০৫:৩৮
Share:

—ফাইল চিত্র

যানজট কমিয়ে শহরে গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখতে তিনটি নতুন সেতু তৈরির প্রস্তাব দিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। প্রস্তাবিত ওই তিন সেতুর দু’টি উত্তর কলকাতার সার্কুলার খালের উপরে। অন্যটি দক্ষিণের ইএম বাইপাসের রুবি মোড়ের কাছে নস্করপাড়ায়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে ডিসি (ট্র্যাফিক) অরিজিৎ সিংহ কেএমডিএ-কে ওই তিনটি সেতু তৈরির লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন। যা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেএমডিএ।

Advertisement

টালা সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য আর জি কর সেতু, চিৎপুর সেতু এবং লকগেট সেতুতে গাড়ির চাপ বেড়েছে। শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড় এবং আর জি কর রোডের যানজট পেরিয়ে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছতে হয় ট্রেনযাত্রীদের। টালা সেতু না থাকায় উত্তর শহরতলির অধিকাংশ যানবাহন আর জি কর সেতু ধরে। ওই সেতুর পাশে আর জি কর হাসপাতাল থাকায় অসংখ্য মানুষ সেখানে রাস্তা পারাপার করেন। ফলে গাড়ির গতি রুদ্ধ হয়। তাই আর জি কর সেতুর দক্ষিণে সার্কুলার খালের উপরে নতুন সেতু তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। ওই সেতুর পথে ক্যানাল ওয়েস্ট রোড এবং রাইচরণ সাধুখাঁ রোড দিয়ে কলকাতা স্টেশনের মধ্যে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। আর জি কর সেতুতে গাড়ির চাপ কমলে যানজটও কমবে।

চিৎপুর সেতুর সমান্তরালে গঙ্গার দিকে সার্কুলার খালের উপরে একটি সেতু তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ। বর্তমানে চিৎপুর সেতুর পাশের রেলওয়ে ক্রসিং দিয়ে রবীন্দ্র সরণি থেকে আসা পণ্যবাহী ভারী গাড়িকে কাশীপুর রোড ধরতে হয়। এর ফলে ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউ, কাশীপুর রোড এবং লকগেট উড়ালপুলে গাড়ির স্বাভাবিক গতি বাধা পায়। তাই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাগবাজার মায়ের ঘাটের কাছ থেকে শুরু করে ওই সেতু খাল পেরিয়ে শেষ হবে। চিৎপুর সেতুর পশ্চিম, অর্থাৎ গঙ্গার দিকে ওই নতুন সেতু তৈরি হলে পণ্যবাহী গাড়ি বিনা বাধায় কাশীপুর যেতে পারবে।

Advertisement

বাইপাসের নস্করপাড়া ক্রসিংয়ের কাছে খালের উপরে একটি কালভার্ট আছে। সেই কারণেই বাইপাসের ওই অংশটি সরু হয়ে গিয়েছে। তাতে উত্তরমুখী গাড়ির গতি বাধা পাচ্ছে। লালবাজার জানিয়েছে, ওই খালের উপরে একটি সেতু তৈরির প্রস্তাব বুধবারই পাঠিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন