শব্দের দাপট বন্ধ করতে সতর্কবার্তা

বুধবার সন্ধ্যায় কলামন্দিরে ওই সমন্বয় বৈঠকের শুরুতেই পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বাজি ফাটানোর সময় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা মনে করিয়ে দেন কালীপুজো কমিটির কর্তাদের। পরে ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর সময় 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১০
Share:

—প্রতীকী ছবি

কালীপুজোর সমন্বয় বৈঠকের বেশির ভাগ সময় জুড়েই থাকল দূষণের প্রশ্ন। কখনও তা বাজির দূষণ, কখনও বা শব্দের তাণ্ডব। এমনকি, শেষমেশ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তার বক্তব্যে বাদ পড়ল না বিসর্জনের দূষণের প্রসঙ্গও। দমকলের অধিকর্তা তরুণ সিংহ জ্বলন্ত ফানুসের বিপদ নিয়েও সতর্ক করেছেন পুজোকর্তাদের।

Advertisement

বুধবার সন্ধ্যায় কলামন্দিরে ওই সমন্বয় বৈঠকের শুরুতেই পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বাজি ফাটানোর সময় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা মনে করিয়ে দেন কালীপুজো কমিটির কর্তাদের। পরে ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর সময়

নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে সেই রায় সামান্য সংশোধন করে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্য নিজের বিবেচনা অনুযায়ী দিনের যে কোনও দু’ঘণ্টা বরাদ্দ করতে পারবে। কিন্তু দু’ঘণ্টার বাইরে বাজি পোড়ানো যাবে না। এ রাজ্যে বুধবার রাত পর্যন্ত অবশ্য বিষয়টি নিয়ে নতুন কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।

Advertisement

শুধু বাজি নয়, বৈঠকে উঠে এসেছে শব্দের দাপটের কথাও। ইদানীং উৎসব শুরু হলেই পেল্লায় মাপের সাউন্ড বক্স (ডি জে বক্স)-এর দাপটের কথা মনে প়ড়ে। নিষিদ্ধ এই বক্স বাজানো বন্ধ করা নিয়ে দুর্গাপুজোর আগেও বৈঠক করেছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তার পরেও সেগুলির তাণ্ডব পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। কালীপুজোর ক্ষেত্রে এই তাণ্ডবের অভিযোগ আরও বেশি ওঠে। এ দিন বেশ কয়েক জন প্রবীণ পুজোকর্তা কিন্তু এই শব্দের দাপটকে পুরোপুরি বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন। শব্দদৈত্যকে লাগাম পরানোর জন্য সাধুবাদও দিয়েছেন পুলিশকে।

কালীপুজোর রাতে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। এ দিন দমকলের অধিকর্তা তরুণ সিংহ তা নিয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি বলেছেন, ‘‘ইদানীং ফানুস ওড়ানোর রেওয়াজ বে়ড়েছে। সে ব্যাপারেও একটু সতর্ক থাকবেন।’’ দমকল সূত্রের বক্তব্য, গত বছর জ্বলন্ত ফানুস এসে পড়ায় কয়েকটি মণ্ডপে আগুন লেগেছিল। রাজ্য দূষণ পর্ষদের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত ঘোষ শব্দদূষণের পাশাপাশি বিসর্জন-বিধি নিয়েও সতর্ক করেছেন পুজোকর্তাদের। মহারাষ্ট্রে বিসর্জন-বিধি ভঙ্গ করায় আদালত জরিমানা করেছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। বোমা, কালীপটকার চেনের মতো নিষিদ্ধ বাজি পো়ড়ানো থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বর কালীপুজো। ৭ নভেম্বর থেকে বিসর্জন দেওয়া যাবে। বিসর্জনের শেষ দিন ১০ নভেম্বর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন