বছরভর গাছের পরিচর্যার শর্তেই পুজোর অনুমতি

দমদম বিধানসভার অধীনে রয়েছে দক্ষিণ দমদম ও দমদম পুরসভা। পুরকর্তারা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে রোপণ করা চারার দেখভাল প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এর পরেই ঠিক হয় পুজো কমিটিগুলিকে চারাগাছের পরিচর্যার দায়িত্ব দেওয়া হবে।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

গাছ বাঁচাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মিছিলে হেঁটেছেন। সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন বৃক্ষরোপণ করতে। যদিও সে সব গাছের রক্ষণাবেক্ষণ কী করে হবে— তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়েই। এমনই পরিস্থিতিতে দমদমের দু’টি পুরসভা রোপণ করা চারা বাঁচানোর দাওয়াই বার করেছে। ঠিক হয়েছে, এ বার দমদম এলাকায় প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ন্যূনতম একটি চারা রোপণ করতেই হবে এবং বছরভর তার যত্ন করতে হবে। সেই শর্তেই উদ্যোক্তারা দুর্গাপুজোর অনুমতি পাবেন।

Advertisement

দমদম বিধানসভার অধীনে রয়েছে দক্ষিণ দমদম ও দমদম পুরসভা। পুরকর্তারা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে রোপণ করা চারার দেখভাল প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এর পরেই ঠিক হয় পুজো কমিটিগুলিকে চারাগাছের পরিচর্যার দায়িত্ব দেওয়া হবে। উদ্যোক্তারা নির্দেশ পালন করেছেন কি না, স্থানীয় কাউন্সিলর সে দিকে নজর রাখবেন।

মন্ত্রীর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই ভাবা হচ্ছিল, গাছ লাগালেই তো হল না। সেগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতেও হবে। তখনই পুজো কমিটিগুলিকে গাছের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়ার কথা মনে হয়। কোথায় বৃক্ষরোপণ হচ্ছে, সেটা পুলিশকেও জানানো হবে। এলাকায় টহলদারির সময়ে গাছগুলির দিকে পুলিশকেও নজর রাখতে বলা হবে।’’

Advertisement

দক্ষিণ দমদম ও দমদম পুরসভার কর্তারা জানান, পাড়ার পুজোর সঙ্গে প্রচুর মানুষ যুক্ত থাকেন। ফলে একটি পুজো কমিটি যখন গাছ লাগাবে, তখন সেটির দিকে অনেকেরই নজর থাকবে। গাছটি যত্নে বেড়ে ওঠার পরিবেশ পাবে। পুরকর্তারা মানছেন, বৃক্ষরোপণ তাঁদের এলাকাতেও হয়। তার পরে আর সেই গাছের খোঁজ কেউ রাখেন না। পুজো কমিটিগুলিকে যুক্ত করলে গাছের পরিচর্যা হবে।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (পরিবেশ) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দুই পুর এলাকা মিলিয়ে ওয়ার্ড পিছু পাঁচ থেকে ছ’টি দুর্গাপুজো হয়। দু’টি পুর এলাকায় ৩৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আশা করা যায়, আগামী দিনে খুব কম হলেও দু’শো গাছ এলাকায় বেড়ে উঠবে। কোনও পুজো কমিটি গাছের প্রতি যত্নবান না হলে আগামী বছরে আর পুজোর অনুমতি পাবে না।’’ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট বলেন, ‘‘পুজো উদ্যোক্তারা অনুমতি নিতে এলে কেন বিষয়টি বাধ্যতামূলক, তা তাঁদের বোঝানো হবে।’’

বিমানবন্দরের কাছের একটি পুজো কমিটির সম্পাদক জনি দাস বলেন, ‘‘পুরসভা নিয়ম করলে তো অবশ্যই তা মানতে হবে। আর গাছের পরিচর্যা তো পরিবেশের স্বার্থেই করার প্রয়োজন।’’ দমদমের আরও একটি পুজো কমিটির তরফে ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা চাই দমদমে সবুজের ঘনত্ব বাড়ুক। বেশি সংখ্যক পুজোকে এই প্রকল্পে যুক্ত করার চেষ্টা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন