হাওড়া ব্রীজ। ফাইল চিত্র।
স্বাধীনতার সময় হাওড়া ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গাড়ি যেত ৩৪ হাজার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে সওয়া এক লক্ষ। সেই হিসেবে আগামী ৭০ বছরে মাঝেরহাট সেতুতেও যানবাহনের সংখ্যা তিন গুণ বাড়বে বলে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ধারণা। তাই এই সেতুকে চার লেনে রূপান্তরিত করে শক্তপোক্ত ভাবে ফের তৈরি করা জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা।
ভেঙে পড়ার আগে মাঝেরহাট সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার গাড়ি চলাচল করত। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ধারণা, ৭০ বছর পরে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার গাড়ি চলাচল করবে।
গার্ডেনরিচ এলাকায় নতুন সেতু তৈরির সময় ২০১৭ সালে পূর্ত দফতর মাঝেরহাট সেতুর যান চলাচল নিয়েও সমীক্ষা করে। ওই সময় দেখা যায়, ওই সেতু দিয়ে রোজ যে গাড়ি চলাচল করে, তার মধ্যে বড় পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা দিনে প্রায় ২০০০। বাকি ৮৮ হাজার গাড়ির মধ্যে বাস-সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রয়েছে। সেই হিসেব মাথায় রেখে দুই লেনের এই সেতুকে এখন চার লেনের করার কথা ভাবা হচ্ছে।
কিন্তু এতটা জায়গা পাওয়া যাবে কি? পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা মনে করছেন, অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সেতুর পাশে জায়গা আছে। সেতুর তলা দিয়ে রেললাইন গেলেও রেলের লাইন রয়েছে অনেকটা দুরে। ফলে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে চার লেনের সেতু তৈরি করা যেতেই পারে বলে তাঁদের মত।
মাঝেরহাটের সেতু ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের অন্তর্ভুক্ত। কলকাতা বন্দরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও বটে। পূর্ত দফতরের এক শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, চার লেনের সেতু করতে হলে খরচ পড়বে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার একযোগে এই কাজ করলে টাকার অভাব
হবে না বলেই তাঁদের ধারণা। তবে সেতুকে চার লেনের তৈরি করার বিষয়ে নবান্নের শীর্ষ কর্তারা বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।