Stealing Cases In New Alipore

কুকুরকে মেরে ফাঁকা ফ্ল্যাটে চুরি, পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন

পুলিশ সূত্রের খবর, নিউ আলিপুর থানার সাহাপুর কলোনিতে একটি চারতলা ফ্ল্যাটের নীচের তলায় মায়ের সঙ্গে থাকেন বছর চব্বিশের রোহন কুণ্ডু। ওই এলাকায় তাঁদের আর একটি ফ্ল্যাটে থাকেন যুবকের বাবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:১৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কুকুরকে মেরে দরজার তালা ভেঙে সর্বস্ব চুরি হয়ে গেল। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ আলিপুর থানার সাহাপুর কলোনিতে। বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না, নগদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা-সহ একাধিক জিনিস খোয়া গিয়েছে বলে নিউ আলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই নিয়ে ওই এলাকায় গত কয়েক মাসে পর পর চুরির ঘটনায় পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়েরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, নিউ আলিপুর থানার সাহাপুর কলোনিতে একটি চারতলা ফ্ল্যাটের নীচের তলায় মায়ের সঙ্গে থাকেন বছর চব্বিশের রোহন কুণ্ডু। ওই এলাকায় তাঁদের আর একটি ফ্ল্যাটে থাকেন যুবকের বাবা। রোহন জানান, শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ তিনি মাকে নিয়ে রানাঘাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। রাতে দু’জনে সেখানেই থেকে যান। এ দিন সকালে একাই বাড়ি ফেরেন রোহন। তাঁর কথায়, ‘‘বাড়ির ভিতরে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম ছিল। সেখানে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য বাবাকে সকালে আসতে বলেছিলাম। বাবা সকালে খাবার দিতে এসে দেখে, সামনের কাঠের দরজার তালা ভাঙা। সামনে পোষ্য কুকুরটি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে।’’

রোহন জানান, গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাঁদের বাড়ির সামনে থাকত ওই কুকুরটি। রাতে সামনের বারান্দায় ঘুমোত সে। মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে আরও দু’-একটি কুকুর এসে থাকত। সকাল-বিকেল তাদের খাবার দেওয়া হত বলে রোহন জানান। রোহনের অভিযোগ, চুরির সময়ে তারা চিৎকার করতে পারে ভেবেই পরিকল্পনা করে কুকুরটিকে মেরে তার পরে ঘরের ভিতরে ঢোকা হয়েছে। ওই যুবকের কথায়, ‘‘বাড়ির সামনের রাস্তায় মৃত অবস্থায় কুকুরটিকে পাওয়া যায়। মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছিল। কোমরের দিকে একটি হাড় ভাঙা ছিল। কিছু খাওয়ানোর পরে ভারী কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।’’

Advertisement

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একতলার ফ্ল্যাটে দু’টি ঘর লন্ডভন্ড। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জিনিসপত্র। আলমারিও ভাঙা। ভিতরের জামাকাপড় সব মেঝেতে ছড়ানো। খাটের একাংশ ভাঙা। তবে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় এই ভাবে পোষ্যকে মেরে চুরির ঘটনা ঘটলেও কেন আশপাশের কেউ কোনও আওয়াজ পেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত কয়েক মাসে ওই এলাকায় একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মাসখানেক আগেই পাশের একটি ফ্ল্যাটে চুরি হয়। পর পর এমন চুরির ঘটনায় পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পুলিশ যদিও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন