বন্দির মৃত্যুতে উঠছে প্রশ্ন

দিন পনেরো আগে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে তোলা চেয়ে হুমকি ফোনের খবর জানাজানি হওয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তৎকালীন কারামন্ত্রী অবনী জোয়ারদার নিজে জেলে গিয়ে পদ-র মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ০০:৩০
Share:

সে চাইলেই জেলের কুঠুরিতে, তার কাছে পৌঁছে যেত মোবাইল। জেল থেকেই তোলা চেয়ে ফোন যেত মধ্যমগ্রাম-বারাসতের প্রোমোটারদের কাছে। এ রকম দুষ্কৃতী, মধ্যমগ্রাম-বারাসতের ত্রাস প্রদীপ দেব ওরফে পদ-র মৃত্যু হল শনিবার ভোরে, প্রেসিডেন্সি জেলে। তার পরিবারের তরফে অবশ্য অভিযোগ, পদকে মেরে ফেলা হয়েছে। ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস।

Advertisement

দিন পনেরো আগে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে তোলা চেয়ে হুমকি ফোনের খবর জানাজানি হওয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তৎকালীন কারামন্ত্রী অবনী জোয়ারদার নিজে জেলে গিয়ে পদ-র মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছিলেন। কারামন্ত্রীকে সে জানিয়েছিল, ‘‘হ্যাঁ, ফোন করেছি। কিন্তু কাউকে হুমকি দিয়ে কোনও টাকা চায়নি। ফোনে ছেলেকে ব্যবসায়িক পরামর্শ দিয়ে থাকি।’’ এই ঘটনার পরে তাকে আর দমদম জেলে রাখার ঝুঁকি নেয়নি কারা দফতর। তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পদ-র বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রাম-কামারহাটি এলাকায় একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ ছিল। এ দিন তার মৃত্যুর পর থেকেই বিভিন্ন মহলে নানা রকম প্রশ্ন উঠছে। মধ্যমগ্রাম থানাকে সরকারি ভাবে জেল থেকে কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

তদন্তের নির্দেশ দিলেও মন্ত্রী উজ্জ্বলবাবুর দাবি, ‘‘ওর মৃত্যুতে রহস্য নেই। কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিল পদ। সংশোধনাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাও চলছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই এই মৃত্যু। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে কারণ স্পষ্ট হবে।’’

তাহলে তদন্ত কেন? উজ্জ্বলবাবুর বক্তব্য, ‘‘ওর ছেলে তেমনই দাবি করেছিলেন বলে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা হলে বিষয়টিতে স্বচ্ছতাও আসবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement