বিক্ষোভের মুখে আধিকারিকেরা। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
দমদমে রেল প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধিতার সম্মুখীন হলেন আধিকারিকেরা। সোমবার দুপুরের ঘটনা। বিরোধিতার পুরোভাগে ছিলেন তৃণমূলের চেয়ারম্যান পারিষদ। প্রায় আধ ঘণ্টা দু’পক্ষে বচসা চলে। শেষ পর্যন্ত দমদমের মাটিতে প্রকল্পের পথ মসৃণ করতে নবান্নের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রেল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, দমদম স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের নীচে চারাবাগান এলাকায় রেলের একটি জমি আছে। ওই জমিতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রুট রিলে কেবিন এবং চালক-গার্ডদের জন্য একটি বিশ্রামঘর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রকল্পের জন্য ওই জমিটি সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করতে এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দমদম আসেন সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-সহ অন্য আধিকারিকেরা। রেলের ওই জমিতে একটি ক্লাবও রয়েছে। আধিকারিকেরা মাপজোকের কাজ শুরু করলে বাসিন্দারা বাধা দেন বলে আরপিএফ সূত্রের খবর। ক্লাবের তরফে উত্তম সাহা জানান, জমিটি রেলের হলেও দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গাটি এলাকার মাঠ হিসেবে পরিচিত। সেখানে কালীপুজো ও অন্য সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। মাঠ ছেড়ে রেলের প্রকল্প তৈরির দাবি তোলেন তাঁরা।
এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হন দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ প্রবীর পাল। রেলের আধিকারিকদের তিনি বলতে থাকেন, ‘‘এই রাজ্যে জোর করে কিছু হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা যেখানে পুজো ও সামাজিক অনুষ্ঠান করেন, সেই জায়গা আপনারা দখল করতে চলে এলেন?’’ এ নিয়ে দু’পক্ষে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। কথা কাটাকাটি হয় আরপিএফের সঙ্গেও। শেষ পর্যন্ত রেলের আধিকারিকেরা অফিসে ফিরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রবীর বলেন, ‘‘আলোচনা ছাড়া যে ভাবে আরপিএফ-কে নিয়ে রেলের আধিকারিকেরা মাপজোক শুরু করেন, তার বিরোধিতা করেছি। এ ভাবে কাজ করলে যে হিতে বিপরীত হতে পারে, রেলের আধিকারিকদের তা বোঝানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।’’ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যা ঘটেছে, তার পরে দমদমে প্রকল্প করা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’