Weather

৭ বছরের রেকর্ড ভাঙল জুনের বৃষ্টি! চলবে আগামী দু’দিন

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৬২.৬ মিলিমিটার। এটা রেকর্ড।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮ ১৫:৪৪
Share:

রেকর্ড বৃষ্টিতে বেহাল হরিদেবপুরের শান্তিনগর। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।

রাতভর টানা বৃষ্টির জেরে ভাসছে কলকাতা। হাবুডুবু খাচ্ছেন শহরবাসী। আর হবে নাই বা কেন? গত ৭ বছরে জুন মাসে এত বৃষ্টিপাত নাকি হয়নি! এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাদের হিসাব, ২০১১ সালে ১৮ জুন বৃষ্টি হয়েছিল ১৫৪.৯ মিলিমিটার। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টি।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৬২.৬ মিলিমিটার। এটা রেকর্ড।”

কলকাতার আকাশে আশঙ্কার মেঘ এখনই কাটছে না। বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণাবর্তের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি চলবে। পশ্চিমের ৫ জেলা দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। তার পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

Advertisement

বেহালার বেচারাম চ্যাটার্জি রোড। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।

গত ২৪ ঘণ্টায় টানা বৃষ্টির জেরে বেহালা, হরিদেবপুর, ঠাকুরপুকুর, খিদিরপুর, গড়িয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বিবেকানন্দ রোড, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায় কার্যত জলে ডুবে শহরবাসী। আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের ভিতরে কোমর জলে নাস্তানাবুদ খোদ পুলিশ কর্মীরাই। পার্ক সার্কাস চার নম্বর ব্রিজ থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত রাস্তা জলে ডুবে রয়েছে। একই চিত্র ইএম বাইপাস লাগোয়া কালীকাপুর এলাকায়। বেহালার পর্ণশ্রী, বেচারাম চ্যাটার্জি রোড, শীলপাড়া, সখের বাজারে এখনও হাঁটুজল। খিদিরপুর, ওয়াটগ়়ঞ্জ এলাকার বিস্তির্ণ এলাকা জলের তলায়।

আরও পড়ুন- বেশি বৃষ্টি বালিগঞ্জেই কেন! কী বলছেন আবহবিদরা

আরও পড়ুন- ঘনঘন বাজ, বেলা বাড়তেই এল ‘রেড অ্যালার্ট’

পুরসভা সূত্রে খবর, দু’ঘণ্টার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলেই কলকাতা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তখন জল নামাতে ৭৩টি পাম্পিং স্টেশন লাগাতার কাজ করে। এ ছাড়াও যেখানে বেশি জল জমে রয়েছে, সেখানে রাস্তার উপরেই পুরসভার অস্থায়ী পাম্প বসানো হয়েছে। জলও নামছে দ্রুত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে লকগেট খুলে জল নামানোর কাজ চলছে। পুরসভার দাবি, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেশির ভাগ জায়গায় জল নেমে যাবে। এই বৃষ্টির জেরে কোথাও কোথাও গাছ ভেঙে পড়েছে। যেমন আলিপুর পার্ক রোডে, প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড এলাকায় গাছ ভেঙে সাময়িক সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস শোনার পর, আগে থেকেই তৈরি রয়েছেন পুরকর্মীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement