প্রতীকী ছবি।
বারবার দুর্ঘটনা। মৃত্যুও ঘটেছে একাধিক বার। দুর্ঘটনা রোধে চালক, খালাসিদের সচেতন করতে গাড়ি সংগঠন ও পুলিশের তরফে রকমারি পদক্ষেপও করা হয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে পরিকাঠামোর উন্নতিতেও জোর দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও যে হুঁশ ফিরছে না, সল্টলেকে সোমবার দুপুরের দুর্ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল সল্টলেকের একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র অর্পিত রঞ্জন। ছোট স্কুলগাড়িতে উঠতে গিয়ে পড়ে যায় সে। গাড়ি তবু গড়াতে শুরু করে দেয়। গাড়ির অন্য পড়ুয়া ও পথচলতি মানুষ চিৎকার করলে চালকের হুঁশ ফেরে। কিন্তু ততক্ষণে ওই স্কুলগাড়ির চাকাই উঠে গিয়েছে অর্পিতের পায়ের উপরে। যার জেরে গুরুতর জখম হয় ওই পড়ুয়া।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর পরেই চালক ওই ছাত্রকে গাড়িতে তুলে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর দেওয়া হয় চৌবাগায়,তাঁর বাড়িতে। পরে পার্ক সার্কাস এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে অর্পিতের পরিবার। পুলিশ জানায়, অর্পিতের পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। হাতেও আঘাত লেগেছে।
কিন্তু পথচলতি মানুষ এবং স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ওই স্কুলগাড়িতে কোনও খালাসি ছিলেন না। কেউ থাকলেই এমন ঘটনা এড়ানো যেত। তবে গাড়িটি স্কুলের নয় বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠেছে, এর আগেও সল্টলেকে স্কুলগাড়ির চালক ও খালাসির অসাবধানতায় মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। তার পরে পুলিশ লাগাতার অভিযান ও সচেতনতার কর্মসূচি নিয়েছে। তার পরেও দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্কুল শুরু এবং শেষের সময়ে যে ভাবে ছাত্রছাত্রীদের গাড়িতে তোলা কিংবা নামানো হয়, তা বিপজ্জনক। অনেক ক্ষেত্রে স্কুলগাড়ির একাংশে কোনও খালাসি থাকছেন না। ছাত্রছাত্রীরা বাসে ঠিক ভাবে উঠতে বা নামতে পারল কি না, তা কে দেখভাল করবে?
দক্ষিণ কলকাতার একটি পুলকার সংগঠনের কর্মকর্তা সুকান্ত বসু বলেন, ‘‘ছোট স্কুলগাড়িগুলির ক্ষেত্রে খালাসি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে চালকদের অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন বেশি।’’ বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, গাড়িতে খালাসি ছিলেন কি না এবং কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।